সম্প্রতি বাংলা ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন টলিউডের সব তারকা। গ্ল্যামারাস লুকে এদিন রেড কার্পেটে ধরা দেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জিও। কিন্তু সেখানে তার দেওয়া ছোট্ট সাক্ষাৎকার এখন ভাইরাল।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে সাংবাদিক শ্রাবন্তীকে ইংরেজিতে বলছেন, ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় স্বাগত আপনাকে। আপনাকে খুব মিষ্টি লাগছে। কোন মুহূর্তের জন্য আপনি মুখিয়ে রয়েছেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘মাই ফ্রেন্ডস আর পারফর্মিং সুপার এক্সাইটেড।’ অর্থাৎ আমার বন্ধুরা আজ পারফর্ম করবে, তাই আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত।
এরপর যখন তার থেকে জানতে চাওয়া হয় যে তিনি কোনো নির্দিষ্ট একটা পারফরমেন্সের জন্য অপেক্ষা করছেন কী? তখন জানিয়ে দেন তিনি শুভশ্রীর পারফরমেন্সের জন্য মুখিয়ে আছেন।
এরপরই শ্রাবন্তীকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোনো একজন নির্দিষ্ট অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে যদি সমর্থন করতে হয় তাহলে সেটা কে হবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু। তো আমি চাই ওরা সবাই যেন ওই ব্ল্যাক লেডিকে নিয়ে যেতে পারে। দেখা যাক।’
বর্তমানে সেই ভিডিও দেখে মশকরা করছেন নেটিজেনরা। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘বাংলায় জিজ্ঞেস করলেই তো হতো, এত ভয় পেত না।’ আরেকজন লেখেন, ‘বাংলায় বলার সময় ইংলিশে বলার মতো স্টাইল মেরে বলে আর ইংলিশে বলার সময় এলে বাংলায় বিড়বিড় করে।’
যদিও অনেকে আবার শ্রাবন্তীকে সমর্থন করেছেন। একজন লেখেন, ইংরেজিকে কবে থেকে আমরা কেবল একটি বিদেশি ভাষা হিসেবে ধরব, কোনও বোদ্ধা হওয়ার স্ট্যান্ডার্ড নয়। দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, ইংরেজি না জানা বা তাতে দুর্বল হওয়া কোনও অপরাধ নয়। তৃতীয় জন লেখেন, ভুলটা কী বলল? সেটাই তো খুঁজে পাচ্ছি না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ র বন ত চ য ট র জ শ র বন ত
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে ‘আওয়ামী লীগের আমলে চাকরি পেয়েছে’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ মারধরের ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তিনজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী মো. গোলাম আজম ফয়সাল চিকিৎসা কেন্দ্রেই ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে কর্মরত। হামলার পর গুরুতর আহতাবস্থায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরো পড়ুন:
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
রাবি ছাত্রদলের কমিটি: সভাপতি-সম্পাদকসহ অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব নেই
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা কেন্দ্রের ২৩ নম্বর কক্ষে ফয়সাল ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন। প্রথমে একজন বহিরাগত এসে ফয়সালের পরিচয় নিশ্চিত করে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ৭-৮ জন কক্ষে প্রবেশ করে ফয়সালকে ‘আওয়ামী লীগের আমলে চাকরি পেয়েছে’ অ্যাখ্যা দিয়ে এবং কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই মারধর শুরু করে।
এক পর্যায়ে তারা ফয়সালকে টেনেহিঁচড়ে চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে আসে এবং এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। মারধর শেষে যাওয়ার সময় যারা হামলার দৃশ্য ভিডিও করার চেষ্টা করলে তারা তিনজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গোলাম আযম ফয়সাল বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে একজন আরেকজনকে ‘জনি, আর মারিস না’ বলে থামায়। চলে যাওয়ার সময় তারা আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকিও দিয়ে যায়।”
নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকি। খুব আতঙ্কে দিন পার করছি।” হামলাকারীদের কাউকে চেনেন না বলে মামলার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি। তিনি বলেন, “ফয়সাল আগে আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে যেত বলে আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কিত। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করলে আমাদের পক্ষে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে বহিরাগতরা অত্যন্ত নির্মম ও অমানবিকভাবে প্রহার করেছে। আমরা জনি নামে একজনের কথা শুনেছি, যার নেতৃত্বে এই হামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা পুলিশের সহায়তায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “আমি মাত্র বিষয়টি জানতে পারছি। এ বিষয়ে প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়া ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গতকাল পুলিশর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মিটিং হয়েছে। তারা নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে কাজ করছে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী