পথশিশুদের মধ্যে ঈদের উপহার বিতরণ করেছে ইউনাইটেড নেশনস ইয়থ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব)। গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের ওয়াশপুরে আটিবাজার গার্ডেন সিটিতে এ আয়োজন হয়। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে শতাধিক পথশিশু অংশ নেয়।

ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কার্যক্রমে অংশ নেয়। যার মধ্যে ছিল গল্প বলা, মেহেদি দেওয়া, ছবি আঁকা আর নিজের হাতে ঈদকার্ড তৈরি করা।

শিশুরা আপন মনে কাগজে রঙের ছোঁয়া দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিল নিজের কল্পনার জগৎ, কেউ আবার মেহেদির নকশায় রাঙিয়ে নিচ্ছিল হাত। তাদের থেকে আবার কয়েকজন বলছিল জীবনের গল্প, তার ছোট-বড় স্বপ্নের কথা, চাওয়া-পাওয়ার অনুভূতি আর ভালোবাসার কথা।

অনুষ্ঠানে ইউনিস্যাবের সদস্য, অ্যালামনাই, স্বেচ্ছাসেবক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’

তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।

তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।

এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’

তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ