গণপরিষদ নয়, সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি
Published: 23rd, March 2025 GMT
সংবিধান সংস্কারে গণপরিষদ গঠন করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করে বিএনপি। দলটি বলেছে, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা উচিত। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে সংসদে সব আলোচনা হবে।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে লিখিতভাবে দলীয় মতামত জমা দেয় বিএনপি। পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের দলীয় এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
সংবিধানের প্রস্তাব পরিবর্তনে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরোধিতাও করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, সুপারিশে ১৯৭১ ও ২০২৪ সালকে এককাতারে আনা হয়েছে। এটি তারা সমুচিত বলে মনে করে না। রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করে না দলটি। বিএনপি বলেছে, যেভাবে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তেমন একটা ভূমিকা থাকবে না। এ ছাড়া নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে।
৬ মার্চ সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ স্প্রেডশিটে ছক আকারে দিয়ে দলগুলোর মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। বিএনপি মতামত দিতে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেয়। গতকাল বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে দলের মতামত জমা দেয়।
লিখিত মতামতের ভিত্তিতে দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করছে কমিশন। বিএনপির সঙ্গে ঈদের পর আলোচনা হবে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ তৈরি করা হবে। এর ভিত্তিতে হবে আগামী নির্বাচন।
গতকাল মতামত জমা দেওয়ার পর সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের ২০টির মতো প্রস্তাবের মধ্যে বিএনপি ১১টিতে সরাসরি একমত। সাত-আটটিতে মন্তব্যসহ নীতিগতভাবে একমত। একটি প্রস্তাবে ভিন্নমত জানানো হয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বিষয়ে তাঁরা একমত, বাকি অর্ধেকের বিষয়ে তাঁদের মতামত আছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিএনপি একমত পোষণ করেছে। তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিনের সুপারিশের বিষয়ে বিএনপি নিজেদের মতামত তুলে ধরে স্প্রেডশিটের সঙ্গে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করেছে।
সংস্কারের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ছয়টি বিকল্প উপায় স্প্রেডশিটে উল্লেখ করেছিল ঐকমত্য কমিশন। প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে যেকোনো একটি উপায়ে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছিল। বিএনপি কোন উপায়ে সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘স্প্রেডশিটে দেওয়া অপশনগুলোর বিষয়ে মন্তব্য হলো, প্রথমেই লিডিং কোয়েশ্চন না করে আমাদের অপশন দিতে হবে, আমরা গণপরিষদে একমত কি না। তারপর গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রশ্ন আসবে।’
সংবিধান সংশোধনে গণপরিষদের প্রয়োজন আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, একটি নতুন রাষ্ট্র গঠিত হলে, সেখানে সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য গণপরিষদ প্রয়োজন হয়। সেই সংবিধানের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচন হয়।
‘এখানে আমাদের কি রাষ্ট্র নতুন হয়েছে?’—এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ ৫৩-৫৪ বছরের পুরোনো রাষ্ট্র। একটা সংবিধান আছে। হয়তো সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট হয়েছে। যে কারণে কাঠামোগুলো নতুন করে বিনির্মাণ করা দরকার। তিনি বলেন, যারা গণপরিষদ দাবি করছে, তারাও ৬৯টা দাবি দিয়েছে। বিএনপি আরও কম দাবি দিয়েছে। এগুলো আলোচনা করে একটা বৃহত্তর ঐকমত্যের ভিত্তিতে এসে ব্যাপক সংশোধিত সংবিধান পাওয়া যাবে। সে সংবিধানকে কেউ নতুন সংবিধান বলতে পারে, এখানে বিএনপির আপত্তি নেই।
সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান, তাঁরা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুপারিশে একমত। তবে উচ্চকক্ষের সদস্য কীভাবে মনোনীত হবে, তা পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে নির্ধারণ করা যাবে। নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০–তে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। তবে নারী আসনে সরাসরি ভোট নয় বিদ্যমান পদ্ধতিতে মনোনয়নের কথা বলেছে তারা।
প্রস্তাবনা সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা ‘স্প্রেডশিটে’ উল্লেখ করা হয়নি। এটি রাখা উচিত ছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধানের প্রস্তাবনা পুরোপুরি পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রস্তাব করেছে। এটা অনেকটা পুনর্লিখনের মতো। সেখানে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে এককাতারে আনা হয়েছে। এটা সমুচিত বলে বিএনপি মনে করে না। এটাকে অন্য জায়গায় রাখা বা সংবিধানের তফসিল অংশে রাখার বিভিন্ন রকম সুযোগ আছে। সেটা আলোচনা করে করা যাবে। পঞ্চদশ সংশোধনের আগের অবস্থায় যে প্রস্তাবনা ছিল, সেটির পক্ষে বিএনপি।
রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিনের প্র্যাকটিসের (চর্চা) মাধ্যমে রাষ্ট্রের নাম মেনে নিয়েছে। এটা নিয়ে কতটুকু কী অর্জন হবে, তা প্রশ্নের দাবি রাখে। এ বিষয়ে বিএনপি একমত নয়।
নির্বাহী, আইন ও বিচার—এই তিন বিভাগের বিষয়ে এবং কিছু কমিশন বিশেষ করে সাংবিধানিক কাউন্সিল করে কিছু অনির্বাচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের যেসব এখতিয়ার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাতে রাষ্ট্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তেমন একটা ভূমিকা থাকবে না। রাষ্ট্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হবে, এটা হচ্ছে সংবিধানের মূল চেতনা। সাংবিধানিক কাউন্সিল করা হলে, সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে বলে মনে করে বিএনপি। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষমতা, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির হাতে থাকা উচিত বলে মনে করে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করার জন্য সংসদীয় কমিটির হাতে ক্ষমতা দেওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে, বিএনপি সেটির সঙ্গেও একমত নয়। এ ক্ষেত্রে তাঁদের মত হলো, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে, তারাই দায়বদ্ধ করতে পারে।
বিএনপি তাদের লিখিত মতামত জমা দেওয়ার সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার উপিস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র প রস ত ব র মত মত ব এনপ র দ র মত
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে: সালাহউদ্দিন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউট করার পর আবারও আলোচনায় যোগ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার ২০তম দিনে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন, সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে, সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরাই প্রস্তাব করেছি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে পরবর্তী সময়ে সংসদ কোনো সংশোধনী আনলে, তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া মানে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।’
তবে এসব অগ্রগতির মধ্যেও নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, কেবল দায়িত্ব আর জবাবদিহি থাকে, তাহলে তা কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।’
সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগে নির্বাহী বিভাগের হাত–পা বাঁধা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাহী বিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে, দুর্বল নয়।’
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা গঠনমূলক লক্ষ্য নিয়ে সংলাপে অংশ নিচ্ছে। তবে যেখানে মৌলিক দ্বিমত রয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা বা মতপার্থক্য প্রকাশ করাও গণতন্ত্রের ভাষা।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, এমন দাবি কেউ করেননি। দ্বিমত থাকবে, ভিন্নমত থাকবে, আর সেগুলোর মধ্য দিয়েই তো গণতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কাউকে ঐকমত্যে বাধ্য করা উচিত। ঐকমত্যের অর্থই হচ্ছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথচলা। বিএনপি অংশ না নিলে কীভাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।’
বক্তব্য শেষে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, সংলাপের পরবর্তী পর্যায়ে বিএনপি অংশ নেবে এবং ইতিবাচক আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
আরও পড়ুনঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠায় হুড়োহুড়ি করে বের হলেন সবাই৫৪ মিনিট আগেবিএনপির ওয়াকআউটকমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান আলোচনায় অংশ নেয়নি বিএনপি। বেলা সাড়ে ১১টার পর বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তাঁরা আলোচনায় অংশ নেবেন না।
পরে আলী রীয়াজ বলেন, বিএনপির পক্ষে বলা হয়েছে, তারা আলোচনায় থাকবে না। একটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ না নিলে আলোচনা করা যাবে না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারি না।
আজ আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।
আরও পড়ুনজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াক আউট, পরে যোগদান২ ঘণ্টা আগে