‘সারজিস ছাত্রলীগ থেকে এনসিপির বড় নেতা হতে পারলে আমরা কী দোষ করেছি’
Published: 25th, March 2025 GMT
সারজিস যদি ছাত্রলীগ থেকে এনসিপির এত বড় নেতা হতে পারে তবে আমরা কী দোষ করেছি। কেন আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে জাতীয়তাবাদী চেতনায় ছাত্রদলের রাজনীতি করতে পারবো না। আমরা ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। আমরা পূর্ব থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে ছাত্রদলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পাবনায় মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে প্রবেশ করা নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে পাবনায় মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে প্রবেশ করা নেতৃবৃন্দ পাবনায় মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগে নেতাকর্মীদের নাম থাকা নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ ঘটনা অতিরঞ্জিত ও একটি পক্ষের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তারা।
তারা বলেন, তৎকালীন সময়ে কলেজে নতুন শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ফ্যাসিবাদী ছাত্র রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ছাত্রলীগ করতে বাধ্য করানো হতো। ফ্যাসিবাদ পতনের সময় ছাত্রজনতার আন্দোলনে এ কমিটিতে থাকা সব ছাত্র সে সময়ে ছাত্রলীগ ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে সম্মুখ সারিতে থেকে স্বৈরাচারবিরোধী ভূমিকা পালন করেছেন। এরই মধ্য দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে চাপের মুখে রাখা সম্পর্কের অবসান ঘটিয়েছি। অথচ এখন একটি কুচক্রী মহল জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধাদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিতে চাইছে।
এ অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানিয়ে স্থগিত হওয়া কমিটি পুনর্বহালের দাবি জানান মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্ররা বলেন, বর্তমান এনসিপি নেতা সারজিস আলম ছাত্রলীগ করে সমন্বয়ক হয়েছেন। বর্তমানে নতুন দল করতে পারে। তবে কেন আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে জাতীয়তাবাদী চেতনায় ছাত্রদলের রাজনীতি করতে পারবো না। আমরা ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। আমরা পূর্ব থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে ছাত্র দলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম। তাই অতিদ্রুত স্থগিত হওয়া কমিটি পাস করার দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন স্থগিত হওয়া কমিটির শিক্ষার্থী সভাপতি প্রার্থী সাগর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল শুভ, যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ, সহ-সভাপতি মান্নান মন্ডল, সাংগঠনিক নাসির উদ্দিন নাবিলসহ কমিটির সব নেতাকর্মী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র র জন ত ম ড ক ল কল জ র র জন ত ত
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি।
আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি।
তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।
আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন তারা।