সারজিস যদি ছাত্রলীগ থেকে এনসিপির এত বড় নেতা হতে পারে তবে আমরা কী দোষ করেছি। কেন আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে জাতীয়তাবাদী চেতনায় ছাত্রদলের রাজনীতি করতে পারবো না। আমরা ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। আমরা পূর্ব থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে ছাত্রদলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম।

মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পাবনায় মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে প্রবেশ করা নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে পাবনায় মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে প্রবেশ করা নেতৃবৃন্দ পাবনায় মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগে নেতাকর্মীদের নাম থাকা নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ ঘটনা অতিরঞ্জিত ও একটি পক্ষের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তারা।

তারা বলেন, তৎকালীন সময়ে কলেজে নতুন শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ফ্যাসিবাদী ছাত্র রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ছাত্রলীগ করতে বাধ্য করানো হতো। ফ্যাসিবাদ পতনের সময় ছাত্রজনতার আন্দোলনে এ কমিটিতে থাকা সব ছাত্র সে সময়ে ছাত্রলীগ ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে সম্মুখ সারিতে থেকে স্বৈরাচারবিরোধী ভূমিকা পালন করেছেন। এরই মধ্য দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে চাপের মুখে রাখা সম্পর্কের অবসান ঘটিয়েছি। অথচ এখন একটি কুচক্রী মহল জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধাদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিতে চাইছে।

এ অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানিয়ে স্থগিত হওয়া কমিটি পুনর্বহালের দাবি জানান মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্ররা বলেন, বর্তমান এনসিপি নেতা সারজিস আলম ছাত্রলীগ করে সমন্বয়ক হয়েছেন। বর্তমানে নতুন দল করতে পারে। তবে কেন আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে জাতীয়তাবাদী চেতনায় ছাত্রদলের রাজনীতি করতে পারবো না। আমরা ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। আমরা পূর্ব থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে ছাত্র দলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম। তাই অতিদ্রুত স্থগিত হওয়া কমিটি পাস করার দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন স্থগিত হওয়া কমিটির শিক্ষার্থী সভাপতি প্রার্থী সাগর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল শুভ, যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ, সহ-সভাপতি মান্নান মন্ডল, সাংগঠনিক নাসির উদ্দিন নাবিলসহ কমিটির সব নেতাকর্মী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র র জন ত ম ড ক ল কল জ র র জন ত ত

এছাড়াও পড়ুন:

একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, “একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বলে আগে নাকি গণভোট হতে হবে। দেশের মানুষ ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি, এখন তারা ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। বাংলাদেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ, তারা আর কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করবে না।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর মাদরাসা মাঠে মুকুন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত মিলন মেলায় এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

গণভোট নিয়ে ‘ক্রসরোডে’ সরকার

বিএনপির জুলাই সনদে ‘না’ বলার সুযোগ নেই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ডা. জাহিদ বলেন, “বিএনপি সমঅধিকারে বিশ্বাস করে। বিএনপি মনে করে, ধনি-গরিব, মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের মানুষের উন্নতি হলেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, আধুনিক বাংলাদেশ হবে।”

তিনি বলেন, “যারা দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিএনপি কখনো পালায়নি। পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস বিএনপির নেই। বিএনপি হলো জনগণের পাশে থাকার দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ইতিহাস, বেগম খালেদা জিয়ার ইতিহাস হলো সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকার ইতিহাস।”

মুকুন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাকিম মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাজা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা শফিকুল আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মিঞা শিরন আলম।

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: দুলু
  • অদৃশ্য শক্তি ও ফ্যাসিষ্টরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খোরশেদ
  • নির্বাচন বাতিলের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান সিপিবির
  • বিদেশ যেতে কেন বাধা দেওয়া হল, প্রশ্ন মিলনের
  • একটি মহল নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: ডা. জাহিদ