প্রথমবার সিরাজগঞ্জে ৩৮১ জন আনসার সদস্য পেলেন ঈদ উপহার
Published: 27th, March 2025 GMT
আনসার বাহিনীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার ৩৮১ জন আনসার সদস্য ভাতা ভোগীর মাঝে ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে। ঈদ উপহার পেয়ে তারা বেজায় খুশি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যালয়ের সামনে এই ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, আনসার বাহিনীর (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদের দিক নির্দেশনায় সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজলার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যালয়ের সামনে নারী ও পুরুষ সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। মোট ৩৮১ জন ভাতাভোগী ২৪৭ জন পুরুষ ও ১৩৪ জন্য নারীর মাঝে সফলভাবে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
জেলা কমান্ড্যান্ট চন্দন দেবনাথ বলেন, “জেলা কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৯টি উপজেলার স্ব-স্ব উপজেলা কার্যালয়ের সামনে ভার্চুয়ালি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরে ভাতা ভোগীদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়।”
বাহিনীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হাতে পেয়ে দলনেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ ভাতা ভোগীরা বলেন, “বাহিনীতে দীর্ঘ দিন কাজ করলেও আমরা এই প্রথম ডিজি মহোদয়ের উদ্যোগের কারণে প্রথম বারের মত ঈদ উপহার পেলাম। আমরা এজন্য সন্মানিত ডিজি মহোদয়, জেলা কমান্ড্যান্ট বাহিনী সহযোগী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে এই ধরনের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বজায় থাকলে বাহিনীর প্রতি আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।”
সিরাজগঞ্জ জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী’র জেলা কমান্ড্যান্ট চন্দন দেবনাথ জানান, সন্মানিত ডিজি স্যারের উদ্যোগে এই প্রথম সারা জেলার ভাতা ভোগীদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এমন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই বাহিনীর সদস্য/সদ্যসাদের কার্যক্রমকে গতিশীল করবে বলেই বিশ্বাস।
এসময় সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মশিউর রহমান, সার্কেল এ্যাডজুট্যান্ট সোহেল রানাসহ সকল উপজেলার উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষিক ও প্রশিক্ষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/অদিত্য/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উপহ র ব তরণ কম ন ড য ন ট স র জগঞ জ ব তরণ ক সদস য উপজ ল আনস র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরমাণু কর্মকাণ্ডে বৈশ্বিক বাধ্যবাধকতা মানছে না: আইএইএ
ইরান ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরমাণু কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বৈশ্বিক বাধ্যবাধকতা মানছে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
সংস্থাটির গভর্নর বোর্ডে আজ বৃহস্পতিবার গৃহীত একটি প্রস্তাবে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগ ভবিষ্যতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপনের পথ খুলে দিতে পারে।
গত সপ্তাহে আইএইএ ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি সংস্থাটির গভর্নর বোর্ডে আজকের সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, ইরান আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। তারা কিছু এলাকায় গোপনে পারমাণবিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তদন্তের আওতায় থাকা কিছু এলাকায় এমন কিছু পারমাণবিক উপকরণ রেখেছে, যার বিষয়ে তারা তথ্য দেয়নি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি আইএইএর বৈঠকের আগে ইউরোপীয় শক্তিগুলোকে প্রস্তাবটি সমর্থন না করার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এতে তাঁরা বড় ভুল করবেন এবং ইরান এর ‘জবাব’ দেবে।
আইএইএর প্রতিবেদন এবং গভর্নর বোর্ডের এমন প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন পারমাণবিক চুক্তির লক্ষ্যে চলমান আলোচনাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুননিরাপত্তাঝুঁকিতে ইরাকের দূতাবাস থেকে কর্মীদের আংশিকভাবে সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র১১ ঘণ্টা আগেতা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। এমন এক সময়ে আইএইএর গভর্নর বোর্ডে প্রস্তাবটি গৃহীত হলো, যার মাত্র এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কিছু নাগরিককে মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশের নাগরিকদের অঞ্চলটি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে ইরান জোর দিয়ে বলেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ এবং তারা কখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরি বা অর্জনের চেষ্টা করবে না।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল ইরান। এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক নাম জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)। ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নজরদারি করার জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল, যাতে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে।
আরও পড়ুন‘শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম’ থেকে বঞ্চিত হলে পারমাণবিক চুক্তি নয়: ইরান০৪ জুন ২০২৫চুক্তি করার বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন এই চুক্তি থেকে একতরফা বের হয়ে যায়। তাঁর মতে, এই চুক্তি ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির পথ বন্ধে যথেষ্ট নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে চুক্তিটি একধরনের বাতিল হয়ে যায়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে চুক্তিটি নবায়নের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন, কিন্তু সফল হননি।
আইএইএর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭ মে পর্যন্ত ইরান ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ ৪০৮ দশমিক ৬ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে, যা অস্ত্র তৈরির পর্যায়ের কাছাকাছি এবং প্রায় ৯টি পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য যথেষ্ট। পরমাণু অস্ত্র নেই—এমন যেকোনো দেশের ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ এই পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত নজিরবিহীন ঘটনা। ফেব্রুয়ারির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এই মজুতের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৩৩ দশমিক ৮ কেজিতে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুনইরানের উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়ামের মজুত ৪০৮ কেজি, যা নজিরবিহীন: আইএইএ৩১ মে ২০২৫