বিশ্বখ্যাত টেক জায়ান্ট গুগল আয়োজিত অ্যানুয়াল প্রোডাক্ট সামিট তথা গুগলের বিল্ডিং ফর এভরিওয়ান সামিট, ২০২৫-এ আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সম্রাট বড়ুয়া। সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ১০ হাজার তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এ সামিটে অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৫০ জনকে নির্বাচন করেছেন গুগলের কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে অন্যতম পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের তরুণ সম্রাট বড়ুয়া। আগামী ১০ থেকে ১১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সিলিকন ভ্যালিতে গুগলের সদর দপ্তরে হবে গুগলের এ সামিট। এতে সম্রাটকে ফুল স্পন্সরশিপসহ আমন্ত্রণ জানিয়েছে গুগল।

গুগল আয়োজিত সিলিকন ভ্যালির এ ফ্ল্যাগশিপ সামিটে থাকবে প্রযুক্তিবিষয়ক মাস্টারক্লাস, ওয়ার্কশপ, এনগেজিং সেশনে অংশ নেওয়াসহ বিশ্বের বাঘা বাঘা টেক জায়ান্টদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তিবিদ, গুগলের কর্মকর্তা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং সিলিকন ভ্যালির আইটি লিডাররা ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির উদ্ভাবন নিয়ে এই ৫০ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এছাড়াও গুগলের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স জায়ান্ট জেমিনি, পিক্সেলসহ নতুন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসগুলোর ডেমো প্রদর্শন ও এগুলোর উন্নয়নবিষয়ক সেশনেও অংশ নেবেন তারা।

সম্রাট বড়ুয়া বর্তমানে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করছেন আমেরিকার বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ডেলয়েটে, যেখানে বিশ্বমানের প্রযুক্তির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাকে গুগলের এ সামিটের জন্য যোগ্য প্রার্থী করে তুলেছে। 

এটি শুধু সম্রাটের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সম্ভাবনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

গ্রামীণফোন-প্রথম আলো আয়োজিত ‘আই জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী সম্রাট বড়ুয়া জাতীয় পর্যায়ের সফল বিতার্কিক। তিনি এটিএন বাংলার নাট্যযুদ্ধ প্রতিযোগিতায় প্রশংসিত অভিনেতা ছিলেন।

সম্রাট বড়ুয়া বলেছেন, “এই অর্জন শুধু আমার জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জেন-জি এবং মিলেনিয়ালদের জন্যও ইন্সপায়ারিং ঘটনা। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং সৃজনশীলতা থাকলে যে গুগলের মতো টেক জায়ান্টের মঞ্চে যাওয়া যায়, তা আমার সঙ্গে না ঘটলে আমি বিশ্বাস করতাম না।”

বাংলাদেশ যখন প্রযুক্তি উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাঠ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তখন সম্রাট বড়ুয়ার এই সাফল্য দেশের শিক্ষার্থী এবং পেশাদারদের জন্য অনুপ্রেরণা। তার এই যাত্রা বৈশ্বিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সুযোগগুলোর উজ্জ্বল উদাহরণ। 

আগামী ৯ এপ্রিল সিলিকন ভ্যালির পথে রওনা দেবেন সম্রাট বড়ুয়া। এ গৌরব আমাদের, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের।

ঢাকা/সনি/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার

আবারও বাজার থেকে সাইবারট্রাক ফিরিয়ে নিচ্ছে টেসলা। এবার এর কারণ সফটওয়্যার নয়, সরাসরি যান্ত্রিক ত্রুটি। যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ১৯৭টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহারের বা রিকলের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএইচটিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, এসব গাড়ির সামনের লাইটবার খুলে পড়ে সড়কে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ মডেলের কিছু সাইবারট্রাকে লাইটবার বসানোর সময় ভুল ধরনের ‘সারফেস প্রাইমার’ ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে আঠালো সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সহজভাবে বললে, টেসলা কিছু গাড়িতে লাইটবার লাগাতে ভুল আঠা ব্যবহার করেছিল। যেসব গাড়িতে এই ত্রুটি রয়েছে, সেগুলোর লাইটবার পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রয়োজনে নতুনভাবে লাইটবার বসানো হবে। সবই গ্রাহকদের জন্য বিনা খরচে। প্রায় ৬ হাজার ২০০টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার মানে টেসলার বিক্রি হওয়া মোট গাড়ির প্রায় ১০ শতাংশই সমস্যাগ্রস্ত।

এর এক সপ্তাহ আগেই আরও একটি বড় ত্রুটির কারণে ৬৩ হাজার ৬১৯টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তখন দেখা যায়, গাড়ির সামনের পার্কিং লাইট অতিরিক্ত উজ্জ্বল হয়ে ওঠায় তা সামনের দিক থেকে আসা গাড়ির চালকদের দৃষ্টিকে ব্যাহত করতে পারে। তবে সেই সমস্যা সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। টেসলার সাইবারট্রাক নিয়ে একের পর এক প্রত্যাহার এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর অনেক সমস্যাই হার্ডওয়্যার–সংক্রান্ত, যেগুলো দূর থেকে সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়।

সূত্র: ম্যাশেবল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিটা প্রকল্প যথাযথ পরিমার্জনের আহ্বান
  • লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার