জামালপুরে যমুনা সারকারখানার প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের সার আত্মসাতের ঘটনায় বরখাস্তকৃত বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ওয়ায়েছুর রহমানসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- যমুনা সারকারখানার সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. মাঈন উদ্দিন, উপসহকারী কারিগরী কর্মকর্তা/পালা বদল প্রধান মো.

হারুন-অর-রশিদ, উপসহকারী কারিগরী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী বিক্রয় কর্মকর্তা বজলুর রশীদ খান ও অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) খোকন চন্দ্র দাস। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকালে জামালপুরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কিশোরগঞ্জ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকালে জামালপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়- আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৮ হাজার ৯১৬.৪৫ মেট্রিকটন সার আত্মসাৎ করে। যার সরকারি মূল্য ২৯ কোটি ৯৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫২.২৪ টাকা। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়। 

জামালপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা বলেন, ‘‘দুদক দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার পর মামলাটি দায়ের করেছে। এখন আমরা আদালতে মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনব।’’

ঢাকা/শোভন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত দ য় র কর

এছাড়াও পড়ুন:

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও দেড় শ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপপরিচালক মো. আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান নূরের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুদকের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০০৩-০৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আসাদুজ্জামান নূরের বৈধ আয় ছিল ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮ টাকা। এ সময়ে তাঁর পারিবারিক ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১ টাকা। সে অনুযায়ী নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকা। অথচ তাঁর অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৭ টাকা। এতে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি বলে দুদক জানিয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট।

২০০১ সালে নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে একে একে মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু করে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ