বকেয়া বেতন-বোনাস চান চট্টগ্রামের ১৭০০ পোশাক কর্মী
Published: 10th, April 2025 GMT
১ হাজার ৭০০ পোশাক শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা ঈদের বোনাস পাননি। তারা চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) মডিস্ট সিইপিজেড লিমিটেডের কর্মী। বকেয়া বেতন-বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছেন তারা। এ জন্য গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ব্যবস্থাপকদের চার মাস, কর্মচারীদের তিন মাস ও শ্রমিকদের এক মাসের বেতন এবং সবার তিন বছরের ছুটির টাকা ও এবারের ঈদ বোনাস বকেয়া রয়েছে। সিইপিজেড ও বেপজা কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও ফল পাননি। দাবি মেনে না নিলে ১৫ এপ্রিল থেকে সিইপিজেডের সামনে আমরণ অনশন পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে বেতন ও বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বাধার মুখে পড়ে। প্রায় আধঘণ্টা পর তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মালিকপক্ষ বোনাস পরিশোধে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তবে সেটি মানতে নারাজ শ্রমিকরা। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সামনে মালিকপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব ঈদ বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা সড়ক ছাড়েন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ম রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।