Samakal:
2025-07-31@06:13:11 GMT

সামষ্টিক সম্পদ ব্যক্তির ভোগে

Published: 10th, April 2025 GMT

সামষ্টিক সম্পদ ব্যক্তির ভোগে

কক্সবাজারে ৭০০ একর বনভূমিতে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সমকালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিটাল পার্ক স্থাপনের যেই আয়োজন চলিতেছে, উহা শুধু উদ্বেগজনক নহে, হতাশাজনকও বটে। কারণ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পূর্বপার্শ্বে ঝিলংজা মৌজার এই বনে রহিয়াছে ৫৮ প্রজাতির দুর্লভ বৃক্ষ এবং বিপন্ন হস্তী, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বাস। তাই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলিতেছে, ১৯৯৯ সালে এই ঝিলংজা মৌজার বনভূমিসহ কক্সবাজার সদর ও সমুদ্রসৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১০ অনুসারে তথায় কোনো প্রকার অবকাঠামো নির্মাণ, প্রতিবেশ-পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো তৎপরতা পরিচালনা নিষিদ্ধ। ইহা হতাশাজনক কারণ, যেই স্থানে ‘কক্সবাজার জিয়াউর রহমান ডিজিটাল পার্ক’ স্থাপনের জন্য বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করিয়াছে বি-কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে এক প্রতিষ্ঠান, সেই ৭০০ একর বনভূমি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নামে বন্দোবস্ত দিয়াছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। পরিবেশ সচেতন মানুষদের উত্তরোত্তর দাবির মুখে সেই বরাদ্দ সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভূমি মন্ত্রণালয় বাতিল করিয়াছে। সেই আবেদনপত্র  বন অধিদপ্তর তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করিতে পারিত। তাহা না করিয়া আবেদনপত্রটি প্রেরণ করা হইয়াছে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কার্যালয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামত প্রদানের নির্দেশনাসহ। প্রসঙ্গত, ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ সরকার এলাকাটিকে ‘রক্ষিত বন’ ঘোষণা করে। বন আইন অনুযায়ী, পাহাড় ও ছড়াসমৃদ্ধ এই বনভূমির ইজারা প্রদান করা-না করার এখতিয়ার শুধু বন বিভাগের। তদুপরি সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ এবং জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য সনদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার বন সংরক্ষণে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মত, একটা দেশে পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। অথচ বাংলাদেশে মাত্র ৮-৯ শতাংশ বনভূমি বিদ্যমান। বনভূমির ধ্বংস বন্ধ না হইলে হয়তো অচিরেই সেই দিন সমুপস্থিত হইবে যখন বন বলিয়া কিছুই এই দেশে থাকিবে না। বনে শুধু বৃক্ষই নয়, অজস্র প্রকার প্রাণী ও অণুজীব থাকে। বন ধ্বংসের অর্থ এই সকল জীব-অণুজীবেরও বিলোপ সাধন। স্বাভাবিকভাবেই প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে ইহাদের সহিত নিবিড় সম্পর্কে আবদ্ধ কৃষি ও শিল্প উৎপাদনও বিপন্ন দশায় পতিত হইবে। তখন এই ভূখণ্ডে মানুষেরও অস্তিত্ব বজায় রাখা দুরূহ হইবে। এই প্রেক্ষাপটে স্বীকার করিতে হইবে, নূতন করিয়া বনভূমি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বন্দোবস্ত প্রদান জনস্বার্থবিরোধী। আমরা জানি, মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এহেন অপকর্মে লিপ্ত। বিগত সরকার এবং তাহার পূর্বসূরিদের সময়ে এই সকল অপকর্ম সংঘটনের ভূরি ভূরি প্রমাণ রহিয়াছে। বনভূমির মূল্য সেই সরকারসমূহের নিকট নিছক ভূমি ব্যতীত অন্য কিছু ছিল না। পরিবেশ সচেতন মহলের চাপে তাহারা বিভিন্ন সময় বন সুরক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করিত বটে, বাস্তবে উহার প্রকাশ তেমন ছিল না। ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষমতায় টিকিয়া থাকিতে তাহারা বনভূমি ইজারা সংক্রান্ত রাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংস্থাসমূহেরও অন্যায় আবদার রক্ষা করিয়াছে। দুঃখজনক হইল, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়া এহেন আপদও বন্ধ হইবার কথা ছিল, যাহা বাস্তবে দৃশ্যমান নহে। রাজনৈতিকভাবে আশীর্বাদপুষ্ট মহল বন ধ্বংসের আয়োজনে লিপ্ত।

আমরা মনে করি, চলমান পরিস্থিতি বদলাইতে হইলে দেশের নীতিনির্ধারকগণের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ লইতে হইবে। আলোচ্য বনভূমি ইজারা প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধের মধ্য দিয়া তাহারা সদিচ্ছার প্রমাণ রাখিতে পারেন। বনখেকোদের জন্য রাজনৈতিক আশীর্বাদ বন্ধ, তৎসহিত বন বিভাগকেও পুনর্বিন্যাস করিতে হইবে বলিয়া আমরা মনে করি। সচেতন মানুষদের এই বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে উচ্চকণ্ঠ থাকিবার কোনো বিকল্প নাই। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ অন য য় র জন য সরক র বনভ ম

এছাড়াও পড়ুন:

বস্ত্র অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন কার্যালয়/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজস্ব খাতভুক্ত বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। মোট পদ ১৯০টি। এসব শূন্য পদে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের অনলাইনে আবেদন আহ্বান করেছে বস্ত্র অধিদপ্তর। ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের এসব পদে আবেদন শুরু আগামী ৪ আগস্ট। অনলাইনে আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনা মতে ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করে আবেদনপত্র সাবমিট করতে হবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র সাবমিটের পর প্রার্থী একটি ইউজার আইডি, ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেন্ট কপি (Applicant’s copy) পাবেন। আবেদনকারী প্রার্থী এটি ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট নিয়ে সংরক্ষণ করবেন।

পদের নাম ও সংখ্যা

১. কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ৬টি

বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা

২. টেইলার মাস্টার

পদসংখ্যা: ৬টি

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

আরও পড়ুনবিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি, সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে নেবে ১১৮ জন২৫ জুলাই ২০২৫

৩. উচ্চমান সহকারী

পদসংখ্যা: ৯টি

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

৪. আর্টিস্ট ডিজাইনার

পদসংখ্যা: ৩টি

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

৫. প্যাটার্ন ডিজাইনার

পদসংখ্যা: ৫টি

বেতন স্কেল: ১০,২০০–২৪,৬৮০ টাকা

৬. টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ১৭টি

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

৭. লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ৫টি

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

আরও পড়ুনকৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ, পদ ৯৭২৪ জুলাই ২০২৫

৮. সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ২০টি

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

৯. মেকানিকস

পদসংখ্যা: ১৭টি

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১০. হিসাব সহকারী কাম–ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ২টি

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১১. আর্টিস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১২. বয়লার অপারেটর

পদসংখ্যা: ৫টি

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১৩. ইলেকট্রিশিয়ান

পদসংখ্যা: ৪টি

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১৪. ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ১৫টি

বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা

১৫. অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ৬৭টি

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

১৬. নিরাপত্তা প্রহরী

পদসংখ্যা: ৫টি

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

১৭. মালি

পদসংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

১৮. বাবুর্চি

পদসংখ্যা: ২টি

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

আরও পড়ুনবাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা জাদুঘর–এ খণ্ডকালীন নিয়োগ, অফিস ৫ ঘণ্টা২৪ জুলাই ২০২৫আবেদনে বয়সসীমা

৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তারিখ

* অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরু: ৪ আগস্ট ২০২৫, সকাল ১০টা।

* অনলাইনে আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, বিকেল ৫টা।

আবেদন ফি

এ সময়সীমার মধ্যে ইউজার আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট করার সময় থেকে পরবর্তী ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন। ১ থেকে ১৩ ক্রমিকের জন্য পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ (বারো) টাকাসহ মোট ১১২/- (এক শ বারো) টাকা ও ১৪ থেকে ১৮ ক্রমিকের জন্য পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ (ছয়) টাকাসহ মোট ৫৬/- (ছাপ্পান্ন) টাকা এবং অনগ্রসর নাগরিকদের সব গ্রেডের ক্ষেত্রে পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ (ছয়) টাকাসহ মোট ৫৬/- (ছাপ্পান্ন) টাকা অনধিক ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে জমা দেবেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদনপত্রের সব অংশ পূরণ করে সাবমিট করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনপত্র কোনো অবস্থাতেই গৃহীত হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা
  • বস্ত্র অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের