আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেছেন, শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন না ঘটালে বিএনপি ২৯০ আসন নিয়ে পার্লামেন্টে বসলেও দুই বছর বা তিন বছরের বেশি টিকতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরউই) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘১০ই এপ্রিল প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, একই সাথে সংবিধান সংস্কারসভা ও সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মজিবুর রহমান এ কথা বলেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশে যেসব দল নির্বাচন চাচ্ছে, তার মধ্যে বিএনপি অন্যতম। বিএনপির বেশ কিছু নেতা কর্মীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট। বিএনপির দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়, তবে আসেন, ক্ষমতায় আসেন। যদি একা আসতে চান, যান। লড়াই হবে আপনাদের সাথে।

পার্লামেন্টে বসেন। ২৭০–২৮০ সিট পান। দেখা যাবে পার্লামেন্ট বেশি, না রাজপথ বেশি। রাজপথের চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করলাম।’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতৃবৃন্দকে আমি বারবার বলেছি। ২৯০ সিট নিয়েও যদি পার্লামেন্টে বসেন, দুই বছর বা তিন বছরের বেশি টিকতে পারবেন না, যদি শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন না ঘটান।’ তিনি বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন না করে শুধু ক্ষমতা লাভের জন্য নির্বাচন চাইলে, নির্বাচন হবে ঠিকই কিন্তু তা জনগণের অভিপ্রায়কে নস্যাৎ করবে। ফলে ১৯৭১, ১৯৯০ ও ২০২৪–এর মতো আবারও গণতন্ত্রের জন্য এ দেশের মানুষকে জীবন দিতে হবে।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘আগামী দিনের নির্বাচন আর রাজনীতি জন্য নতুন করে ভাবেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো আপসহীন সংগ্রামী নেতা মাত্র তিন বছরে ফ্যাসিবাদের জনক হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনাকে বলা হতো গণতন্ত্রের মানসকন্যা। উনি ক্ষমতায় যাবার পর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের দানবকন্যায় পরিণত হয়েছেন। সুতরাং, নতুন পথ নির্ধারণ করতে হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ন বছর র পর ব ব এনপ ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি