বিএনপি ২৯০ আসন পেলেও দুই-তিন বছরের বেশি টিকতে পারবে না: মজিবুর রহমান
Published: 11th, April 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেছেন, শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন না ঘটালে বিএনপি ২৯০ আসন নিয়ে পার্লামেন্টে বসলেও দুই বছর বা তিন বছরের বেশি টিকতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরউই) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘১০ই এপ্রিল প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, একই সাথে সংবিধান সংস্কারসভা ও সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মজিবুর রহমান এ কথা বলেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশে যেসব দল নির্বাচন চাচ্ছে, তার মধ্যে বিএনপি অন্যতম। বিএনপির বেশ কিছু নেতা কর্মীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট। বিএনপির দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়, তবে আসেন, ক্ষমতায় আসেন। যদি একা আসতে চান, যান। লড়াই হবে আপনাদের সাথে।
পার্লামেন্টে বসেন। ২৭০–২৮০ সিট পান। দেখা যাবে পার্লামেন্ট বেশি, না রাজপথ বেশি। রাজপথের চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করলাম।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতৃবৃন্দকে আমি বারবার বলেছি। ২৯০ সিট নিয়েও যদি পার্লামেন্টে বসেন, দুই বছর বা তিন বছরের বেশি টিকতে পারবেন না, যদি শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন না ঘটান।’ তিনি বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন না করে শুধু ক্ষমতা লাভের জন্য নির্বাচন চাইলে, নির্বাচন হবে ঠিকই কিন্তু তা জনগণের অভিপ্রায়কে নস্যাৎ করবে। ফলে ১৯৭১, ১৯৯০ ও ২০২৪–এর মতো আবারও গণতন্ত্রের জন্য এ দেশের মানুষকে জীবন দিতে হবে।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘আগামী দিনের নির্বাচন আর রাজনীতি জন্য নতুন করে ভাবেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো আপসহীন সংগ্রামী নেতা মাত্র তিন বছরে ফ্যাসিবাদের জনক হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনাকে বলা হতো গণতন্ত্রের মানসকন্যা। উনি ক্ষমতায় যাবার পর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের দানবকন্যায় পরিণত হয়েছেন। সুতরাং, নতুন পথ নির্ধারণ করতে হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ন বছর র পর ব ব এনপ ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ: ফখরুল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে “বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার এক নতুন অধ্যায়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এবারকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “তফসিল ঘোষণা শুধু নির্বাচনসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক গুরুত্বপুর্ণ মুহূর্ত। দেশের জনগণ বহু অপেক্ষার পর যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে, তার সূচনা এই তফসিল।”
আরো পড়ুন:
সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ
বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া
অতীতের মতো কোনোরূপ পক্ষপাত, প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি মুক্ত, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জনগণই দেশের মালিক। তাদের রায়কে সম্মান জানানো এবং ভোটের অধিকার রক্ষা করাই বিএনপির মূল অঙ্গীকার।’’
ফখরুল আরও দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে সামনে রেখে বিএনপি মাঠে শক্তিশালীভাবে উপস্থিত থাকবে এবং গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা চাই একটি সুষ্ঠু পরিবেশ, সমান সুযোগ, পর্যাপ্ত স্বাধীনতা এবং সব দলের জন্য মাঠ সমতল রাখা হোক। জনগণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চায়।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাবে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘‘অতীতের অভিজ্ঞতা জনগণকে সতর্ক করেছে। তাই এবার তারা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন ও রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নির্ধারক সময়। দেশের গণতন্ত্র, ভবিষ্যৎ এবং নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন রক্ষায় এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা/আলী//