ফুল বিজু উৎসবে রমনার লেকে ফুল ভাসিয়ে পার্বত্যবাসীর মঙ্গল কামনা করে পার্বত্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “আমাদের অনাগত দিনগুলো যেন ভালোভাবে আসে। আমাদের সকলের মাঝে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি, এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ যাতে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, পাহাড়ি-বাঙালি যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঝে মিলেমিশে থাকে এবং তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।”

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স থেকে রমনা পার্ক লেকে র‌্যালিসহ ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ফুল বিঝু উৎসব পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।

পার্বত্য জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’ বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন সুপ্রদীপ চাকমা।

তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিকী এবারের বিজু অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা সবাই হাতে হাত ধরে এদেশকে এবং এ জাতিকে উন্নতির শীর্ষে নিযে যেতে চাই- এটাই আমার আজকের দিনের প্রত্যাশা।”

তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা পার্বত্য চট্টগ্রামে আসুন, দেখুন আমরা একত্রে পার্বত্যবাসীর উন্নয়নের জন্য কী করতে চাই। আমাদের এ অনুষ্ঠান একটি ইনক্লুসিভ অনুষ্ঠান। আমরা গর্বিত ও আনন্দিত যে, পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী আপনারা সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ র‌্যালিতে যোগ দিয়েছেন ও একত্রিত হয়েছেন।”

তিনি এজন্য আগত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপদেষ্টা বলেন, “পার্বত্যবাসীদের জন্য ভবিষ্যতে আরো কিছু করে যেতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নতি করতে চাই।”

অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

আব্দুল খালেক বলেন, “আনন্দঘন পরিবেশে উপদেষ্টা মহোদয়ের সহযোগিতায় আমরা এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, তঞ্চংগা, খুমি, বোম, খিয়াং ও বাঙালিসহ অন্যান্য সবাই মিলে আজ খুশির এ উৎসব পালন করতে পেরেছি। এ উৎসবে বাঙালি ও পাহাড়িরা একাকার। সবাই আমরা একাত্ম হয়ে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেছি। নেচে গেয়ে আনন্দে শামিল হয়েছি। এ ধরনের সেতু বন্ধন আমাদের মধ্যে অটুট থাকুক।”

র‌্যালি অনুষ্ঠানে ঢাকায় বসবাসকারী তিন জেলার অধিবাসী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাবির জাতীয় বিতর্ক উৎসব 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে‘চির উন্নত মম শির’ স্লোগানকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন (জেইউডিও)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেইউডিও জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫। গত ২৭ নভেম্বর শুরু হওয়া এই উৎসবে সারা দেশের অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিতার্কিকরা অংশ নেন। উৎসবের সমাপনী দিনে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজকরা জানান, যুক্তিবাদী ও মননশীল মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবারের উৎসবটি তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২৭ নভেম্বর ১৪তম আন্তঃকলেজ, ২৮ নভেম্বর ২০তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১ ডিসেম্বর ১৪তম আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জাবিতে একাডেমিক নিপীড়ন প্রতিরোধে নতুন প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু

জাবির ৪৫তম ব্যাচের রাজা আকাশ, রানি ফারিন

প্রতিযোগিতায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)।

আন্তঃকলেজ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং রানার আপ হয়েছে সেন্ট জোসেফ কলেজ। পাশাপাশি আন্তঃস্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতেছে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এবং রানার আপ হয়েছে সেন্ট গ্রেগরী স্কুল।

জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫-এর স্কুল পর্যায়ের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন জান্নাতুন্নেছা বিনতে জামান এমিলি, কলেজ পর্যায়ে আল লুবান এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাদমান কৌশিক। উৎসবের মূল আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেইউডিও’র সভাপতি মির্জা সাকি।

ঢাকা/হাবীব/জান্নাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও এআইইউবির ফাইনালে ওঠার উৎসব
  • খুলনার সেই গল্প এবার যাচ্ছে ইউরোপে
  • জেদ্দায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা জিতল রোহিঙ্গাদের গল্প নিয়ে নির্মিত সেই সিনেমা
  • পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাবির জাতীয় বিতর্ক উৎসব 
  • গুলশানে বসেছে গ্রামের পৌষ উৎসব
  • নিজেদের ভাষা বাঁচানোর লড়াই করা ম্রো শিশুরা ঢাকায় আসছে
  • বেরোবিতে বিআরইউডিএফের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক উৎসব
  • মেসির দেখা পেতে কলকাতায় আসছেন শাহরুখ
  • ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন