একেই বলে ভাগ্য। ১২ বছর আগে একবার বেশ বড় অঙ্কের লটারি জিতেছিলেন। এবার আবার জিতলেন লটারি। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের এই নারীর নাম শ্যারন গডসে।

ভার্জিনিয়া লটারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৩১ মার্চ পাওয়ারবল ড্রতে শ্যারন ১ লাখ মার্কিন ডলারের (প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা) লটারি জিতেছেন।

শ্যারন কনকর্ড এলাকায় কার্সন মার্কেট থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন। এর আগে শ্যারন ২০১৩ সালে স্যাফির রিচেস-এর লটারি কিনে ১ লাখ ডলার জিতেছিলেন।

ভার্জিনিয়ার এই নারীর ভাগ্যে দুবার বেশ বড় অঙ্কের লটারি জুটল। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ তিনি ১ লাখ ডলারের লটারি জিতলেন। ইতিমধ্যে তিনি লটারির অর্থ গ্রহণ করেছেন।

ভার্জিনিয়া লটারি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, কনকর্ডের বাসিন্দা শ্যারন গডসে গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত পাওয়ার বল ড্রয়ে ১ লাখ ডলারের লটারি জেতার দাবি করেছেন। ১২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার তিনি এই বড় অঙ্কের লটারিতে সফল হয়েছেন।

লটারির পাঁচটি নম্বরের মধ্যে প্রথমে চারটি নম্বর এবং পাওয়ার বল নম্বর মিলে গেলে সাধারণত ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার পাওয়া যায়। শ্যারনের ক্ষেত্রেও প্রথমে সেটি হয়েছিল। যার ফলে তিনি ৫০ হাজার ডলার জিতেছিলেন। পরে তিনি পাওয়ার অপশনের সুযোগ নেন। এ জন্য তাঁকে অতিরিক্ত ১ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। এতেই তিনি বাজিমাত করেন। বাকি নম্বরও মিলে গেলে তাঁর লটারির অর্থ দ্বিগুণ হয়ে ১ লাখ ডলার হয়ে যায়।

শ্যারন লটারির কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আমি লটারি খেলতে গিয়ে ঝুঁকি নিয়েছি। যখন বুঝতে পারলাম যে আমি লটারি জিতেছি, তখন আমার পুরো শরীর কাঁপছিল।’

ভার্জিনিয়া লটারি ১৯৮৮ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি লটারি বিক্রি থেকে আয়ের অর্থ কমনওয়েলথের কে-১২ শিক্ষায় ব্যয় করে থাকে। গত বছর লটারি কর্তৃপক্ষ ভার্জিনিয়ার সরকারি স্কুলের জন্য ৭০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ