১২ বছরের মধ্যে দুবার বড় অঙ্কের লটারি জিতলেন
Published: 13th, April 2025 GMT
একেই বলে ভাগ্য। ১২ বছর আগে একবার বেশ বড় অঙ্কের লটারি জিতেছিলেন। এবার আবার জিতলেন লটারি। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের এই নারীর নাম শ্যারন গডসে।
ভার্জিনিয়া লটারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৩১ মার্চ পাওয়ারবল ড্রতে শ্যারন ১ লাখ মার্কিন ডলারের (প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা) লটারি জিতেছেন।
শ্যারন কনকর্ড এলাকায় কার্সন মার্কেট থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন। এর আগে শ্যারন ২০১৩ সালে স্যাফির রিচেস-এর লটারি কিনে ১ লাখ ডলার জিতেছিলেন।
ভার্জিনিয়ার এই নারীর ভাগ্যে দুবার বেশ বড় অঙ্কের লটারি জুটল। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ তিনি ১ লাখ ডলারের লটারি জিতলেন। ইতিমধ্যে তিনি লটারির অর্থ গ্রহণ করেছেন।
ভার্জিনিয়া লটারি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, কনকর্ডের বাসিন্দা শ্যারন গডসে গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত পাওয়ার বল ড্রয়ে ১ লাখ ডলারের লটারি জেতার দাবি করেছেন। ১২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার তিনি এই বড় অঙ্কের লটারিতে সফল হয়েছেন।
লটারির পাঁচটি নম্বরের মধ্যে প্রথমে চারটি নম্বর এবং পাওয়ার বল নম্বর মিলে গেলে সাধারণত ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার পাওয়া যায়। শ্যারনের ক্ষেত্রেও প্রথমে সেটি হয়েছিল। যার ফলে তিনি ৫০ হাজার ডলার জিতেছিলেন। পরে তিনি পাওয়ার অপশনের সুযোগ নেন। এ জন্য তাঁকে অতিরিক্ত ১ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। এতেই তিনি বাজিমাত করেন। বাকি নম্বরও মিলে গেলে তাঁর লটারির অর্থ দ্বিগুণ হয়ে ১ লাখ ডলার হয়ে যায়।
শ্যারন লটারির কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আমি লটারি খেলতে গিয়ে ঝুঁকি নিয়েছি। যখন বুঝতে পারলাম যে আমি লটারি জিতেছি, তখন আমার পুরো শরীর কাঁপছিল।’
ভার্জিনিয়া লটারি ১৯৮৮ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি লটারি বিক্রি থেকে আয়ের অর্থ কমনওয়েলথের কে-১২ শিক্ষায় ব্যয় করে থাকে। গত বছর লটারি কর্তৃপক্ষ ভার্জিনিয়ার সরকারি স্কুলের জন্য ৭০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল