চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
Published: 16th, April 2025 GMT
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় মোটিফ বানানো চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এতে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন খানকে প্রধান করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, ওই ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করার তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
খুলনার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ঘোষের বাজার এলাকায় অবস্থিত মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেয় সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ ওঠে। আগুনে পুড়ে যায় বাড়িটির টিনশেড ঘরে রাখা মানবেন্দ্র ঘোষের দীর্ঘদিনের শিল্পকর্ম, একটি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র।
এবার ঢাকায় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের আদলে ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার মোটিফ’ বানানো হয়। এলাকাবাসীর ধারণা, মোটিফ তৈরির কাজে যুক্ত থাকার কারণে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হতে পারে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে বাড়িতে থাকা দোকানের কর্মচারীরা আগুন লেগেছে বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন উপস্থিত হয়ে আগুন লেভানোর চেষ্টা করে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ দাবি করেন, পহেলা বৈশাখের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইনডাইরেক্ট ভাবে তিনি হুমকির মধ্যে ছিলেন। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পর মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
তিনি বলেন, “নববর্ষের শোভাযাত্রায় শেখ হাসিনার যে মুখাকৃতি তৈরি হয়েছে সেটাতে অনেকেই জড়িত ছিল। এটি প্রশাসনের চাহিদার জন্য করা হয়েছে। কোনো শিল্পী নিজ উদ্যোগে সেগুলো তৈরি করেনি। এখানে শিল্পীদের কোনো দায় নেই। প্রশাসন যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে শিল্পীরা সেভাবেই কাজ করেছে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোছা.
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “আমরা গতকাল রাতে জানতে পেরেছি চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন খানকে প্রধান করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ম ন কগঞ জ র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তাঁদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তদন্ত না করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী মাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুস সালামের বাড়ির গোয়াল থেকে কয়েকজন তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। গরু চুরির কথা শুনে সবাই মিলে লাঠিসোঁটা হাতে তাঁদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে তাঁরা পাশের নাসিরাবাদ গ্রামের দিকে পালিয়ে যান।
পরে নাসিরাবাদ গ্রামের লোকজন গরু চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের ধাওয়া করলে তিনজন স্থানীয় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। এ সময় এলাকাবাসী তাঁদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে পিটুনি দেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আরেকজন গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।