আজ সোমবার বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর উদযাপিত হয়ে আসছে। মানব সভ্যতার টেকসই অগ্রগতিতে সৃজনশীলতা ও নতুন উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরতেই দিবসটিতে আয়োজন করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন এমন দুটি উপাদান, যা আধুনিক সভ্যতার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। মানবসমাজের বিভিন্ন সমস্যার টেকসই সমাধান এবং উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচনে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, দেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে শিল্প ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি কার্যকর সংযোগ বা ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন’ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড.
শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুধু পাঠদানের গণ্ডিতে আটকে না রেখে গবেষণা ও উদ্ভাবনমুখী করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক অবকাঠামো, ল্যাবরেটরি, গবেষণা অনুদান ও স্টার্টআপ সহায়তা জরুরি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ বস
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি
আইসিসির শর্ত পূরণ করে ২০১৫, ২০১৯ এমনকি ২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি কোয়ালিফাই করেছে। ২০১৫ থেকে লম্বা সময় ধরে ওডিআই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ৭ নম্বরে। সেখান থেকে অবনমন হতে হতে এখন ১০ নম্বরে। তাইতো প্রশ্ন উঠছে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরসরি খেলতে পারবে তো বাংলাদেশ?
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারের পর এই স্বপ্নও ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এখনও পর্যাপ্ত ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। যেগুলোতে ভালো করলে রাংকিংয়ে অবস্থান ভালো হবে। তাতে বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারবে বলে আশাবাদী বিসিবি।
আরো পড়ুন:
শারমনি-শর্নার ফিফটিতে ২৩৩ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে দুই পরিবর্তন
২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করতে হলে র্যাংকিংয়ে সেরা আট দলের মধ্যে থাকতে হবে। ১৪ দলের টুর্নামেন্টে বাকি দলগুলোকে বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে হবে। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে ছাড়া ওডিআই র্যাংকিংয়ের সেরা আটে থাকা দলই বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে। অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকলে র্যাংকিংয়ে দশ নম্বর পর্যন্ত থাকা দলগুলো সরাসরি অংশগ্রহণ করবে।
এই সময়কালের মধ্যে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে সেরা অবস্থানের মধ্যে না থাকতে পারলে তখন ১০ দলের বাছাইপর্ব খেলতে হবে। যা গত বিশ্বকাপে পেরোতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এই মুহূর্তে আফগানিস্তান ৯৪ রেটিং নিয়ে আছে সপ্তমে। ৮৮ রেটিংয়ে আটে অবস্থান ইংল্যান্ডের। ৮০ রেটিংয়ে নয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এর পরেই দশম অবস্থানে বাংলাদেশ, রেটিং ৭৫।
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের পথটা বাংলাদেশের জন্য এখন বেশ জটিল। প্রতিটি সিরিজ, প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পর্যাপ্ত সুযোগও আছে।
বিসিবি জানিয়েছে ২০২৫-২৬ সময়কালে বাংলাদেশ আরও ২৪টি ওয়ানডে খেলবে। ফলে র্যাংকিংয়ে উন্নতি করে এখনও সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের বাকি থাকা ম্যাচগুলো- আফগানিস্তান – ১ ওয়ানডে (চলমান সিরিজ), ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৩ ওয়ানডে (হোম), পাকিস্তান – ৩ ওয়ানডে (হোম), নিউ জিল্যান্ড – ৩ ওয়ানডে (হোম), অস্ট্রেলিয়া – ৩ ওয়ানডে (হোম), জিম্বাবুয়ে – ৫ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে), আয়ারল্যান্ড – ৩ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে) ও ভারত – ৩ ওয়ানডে (হোম)।
এই ম্যাচগুলি আইসিসি এফটিপি’র অধীনে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের অংশ এবং ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণে সরাসরি ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল