৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। ওই বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ এবং ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। সেই সঙ্গে পুঁজি বৃদ্ধি করতে ব্যাংকটি বন্ড ছাড়বে বাজারে।

গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২৪ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৪ টাকা ৬১ পয়সা।

গত এক বছরে যমুনা ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২২ টাকা ২০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।

আগামী ২৪ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সে জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ মে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, স্টক লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে মূলত পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে; মজুত বা যে মুনাফা এখনো হয়নি, তার ভিত্তিতে মুনাফা দেওয়া হয়নি। পরিশোধিত মূলধনেও হাত দেওয়া হয়নি।

২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা ব্যাংক। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস।

বন্ড ছাড়বে যমুনা ব্যাংক

ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া আরেক ঘোষণায় যমুনা ব্যাংক বন্ড ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, এক হাজার কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল কুপন ছাড়া হবে। ব্যাংকটির পুঁজির ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই বন্ড ছাড়া হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়া গেলেই এই বন্ড বাজারে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ড ছ ড়

এছাড়াও পড়ুন:

গত অর্থবছরে রপ্তানি ৯% বেড়েছে

সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানির গতি ছিল বেশ সন্তোষজনক। আগের অর্থবছরের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ২২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ঈদের ছুটি ছিল ১০ দিন।

এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মীদের ধর্মঘটের কারণে শেষ দুই কর্মদিবসে রপ্তানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। এ কারণে জুন মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ বাস্তবতার মধ্যেই গড়ে ৯ শতাংশের মতো রপ্তানি আয় বেড়েছে গত অর্থবছরে। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বলছে, রপ্তানির পরিমাণের দিক থেকেও সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের রপ্তানি আয় গত তিন অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থবছরটিতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের। এর আগে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এর চেয়ে বেশি ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার রপ্তানি থেকে আয় এসেছিল। অবশ্য ওই অর্থবছর পর্যন্ত রপ্তানি আয়ে গোঁজামিলের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির সংশোধিত হিসাবমতে, গত ১০ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেশি দেখানো হয়েছে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৭ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। 

ইপিবির প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরের ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের মধ্যে একক পণ্য হিসেবে তৈরি পোশাক থেকেই এসেছে ৩ হাজার ৩৩৫ কোটি ডলার। বাকি সব পণ্য থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৯৯৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে গত অর্থবছর তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় বেড়েছে ২২০ কোটি ডলারের মতো। অবশ্য ঈদের ছুটির কারণে গত জুনে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। রপ্তানি হয় ২৭৯ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য। 

জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ও হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম শামসুদ্দিন সমকালকে বলেন, ঈদের ১০ দিনের ছুটির কারণে জুনে রপ্তানি কম হয়েছে। এর মধ্যে অন্য আর কোনো কারণ নেই। ছুটির কারণে পণ্য জাহাজীকরণ কয়েকদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে আবার সেটা পুষিয়ে যাবে। জুনে কমলেও চলতি জুলাই মাসে রপ্তানি আয় বেশ বাড়তে পারে। কয়েক মাস ধরে ব্র্যান্ড ক্রেতাদের পক্ষ থেকে ভালো সাড়া  পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি। 

গত অর্থবছর চামড়া ও চামড়াপণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। রপ্তানি হয় ১১৫ কোটি ডলারের পণ্য। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো। রপ্তানি হয় ৯৯ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য। পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি ৪ শতাংশ কমে রপ্তানি ৮৫ কোটি ডলারে। হোমটেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে। রপ্তানি হয় ৮৭ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের হোমটেক্স পণ্য। এ ছাড়া হিমায়িত মাছ এবং চিংড়ির রপ্তানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। রপ্তানি হয় ৪৪ কোটি ডলারের পণ্য। এসব বড় পণ্যের বাইরে রপ্তানি তালিকার প্রায় সব পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে গত অর্থবছর। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্যালারি কায়ার আলোকপথ
  • ইসরায়েলি সেনারা তাঁর বাবা-ভাইকে মারল, পরিবারের জীবিত সদস্যদের উপহাস করল
  • ২৪৩ কোটি টাকা লভ্যাংশ দেবে বার্জার পেইন্টস 
  • গত অর্থবছরে রপ্তানি ৯% বেড়েছে
  • ডিএসইর সিটিও পদে যোগ দিলেন আসিফুর রহমান
  • মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ইসলামিক ফাইন্যান্স
  • ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান
  • জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আরো ১০ জনের নামে গেজেট
  • নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত কুবি