কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য কবি। তাঁর জীবন ও কর্ম অবলম্বনে নাটক ‘কমলা রঙের বোধ’ নিয়ে আসছে নাট্যদল থিয়েটার ফ্যাক্টরি। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন অলোক বসু। রাজধানীর মহিলা সমিতির মঞ্চে আগামী ৯ মে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে নাটকটির। একই স্থানে ১০ ও ১১ মে কমলা রঙের বোধ নাটকের আরও চারটি প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্দেশক অলোক বসু।

এর আগে ২৭ এপ্রিল নাটকটির একটি টেকনিক্যাল শো করবে দলটি। নাটকটি প্রয়াত নাট্যজন আলী যাকেরের স্মৃতির উদ্দেশে নিবেদন করবে থিয়েটার ফ্যাক্টরি।

নির্দেশক অলোক বসু বলেন, কবি জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে আমাদের দেশে সেভাবে আলোচনা হয় না। নতুন প্রজন্মের মাঝে তাঁকে ছড়িয়ে দিতেই নাটকটির পরিকল্পনা। আজকের তরুণ প্রজন্ম কবি জীবনানন্দ দাশকে কেমন করে দেখেন, সেই দেখাকে এ নাটকে মেলানো হয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশের সময়ের সঙ্গে।’

নাটকের গল্প প্রসঙ্গে নির্দেশক বলেন, ‘নাটকের আখ্যান রচিত হয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশের জীবন ও সাহিত্যকর্মকে উপজীব্য করে। ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর জীবনানন্দ দাশ ট্রাম দুর্ঘটনার শিকার হন। নাটকের গল্প শুরু সেখান থেকেই। ২২ অক্টোবর শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মারা যান কবি। ৯ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কবি তাঁর চিন্তার জগতে মুখোমুখি হয়েছেন তাঁর জীবন-স্বপ্ন-কল্পনা-দর্শন ও বাস্তবতার। তাঁর সাহিত্যের নোট এর মাধ্যমে আজকের জীবনানন্দ ও কাব্যপ্রেমী কতিপয় তরুণ উন্মোচন করেন জীবনানন্দ দাশকে।’

নির্দেশক আরও বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বর থেকে নাটকের মহড়া শুরু করেছি। সম্প্রতি এটি শেষ হয়েছে। কবির ১২৬তম জন্মবার্ষিকীতে এটি মঞ্চে আনার ইচ্ছা ছিল। শিল্পকল্পার কাছে আমরা আবেদনও করেছিলাম শো করার জন্য। আমাদের প্রস্তুতিও ছিল। হল পায়নি বলে নাটকটি মঞ্চায়ন করা সম্ভব হয়নি। আশা করছি, এ নাটকে পুরোপুরি জীবনানন্দকে পাওয়া যাবে।’

নাটকে জীবনানন্দ দাশের চরিত্রে অভিনয় করবেন দিপু মাহমুদ, আরিফ আনোয়ার ও কে এম হাসান। অন্য চরিত্রে আশা আক্তার, বিপাশা সাইদ, মুনমুন খান, সুভাষ সরকার, আকলিমা আক্তার, শান্তনূর ইহসান দিগন্ত, হাসিবুল হক, মৃন্ময় চৌধুরী, নওরীন পাপড়ি, রবিউল ইসলাম রাজিব, শাইরা, সূর্য, প্রীতম প্রমুখ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টক র র জ বন ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ