বোরখা ও মাস্ক পরে পরিকল্পিত কিলিং মিশনে অংশ নেয় ১০ জন
Published: 24th, April 2025 GMT
সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়নে বিএনপি কর্মী আবুল হাশেম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, পূর্বশত্রুতা ও প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে ১০ জন মিলে এই কিলিং মিশন পরিচালনা করেন। কিলিং মিশনে তারা বোরখা পরে অংশ নেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা ও অপরাজিতা দাশ এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
বুধবার রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকন।
স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন— এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি আক্তার হোসেন, ১১ নম্বর আসামি রাকিবুল ইসলাম এবং তদন্তে শনাক্ত বেলায়েত হোসেন মামুন ও সোলেমান।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান জানান, পূর্ব শত্রুতা, বেলাল হত্যা মামলায় হাশেমের সংশ্লিষ্টতা এবং স্থানীয় সুফিয়ান মেম্বারকে পঙ্গু করার ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই হত্যার পরিকল্পনা হয়।
জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, ২২ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে তারা বোরখা ও মাস্ক পরে সাজেদা ফাউন্ডেশনের পেছনে অবস্থান নেয়। ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হাশেম সড়কটি অতিক্রম করার সময় তারা রশি দিয়ে তার পথরোধ করে এবং রড, লাঠি ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
পরে আদালত চার আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকন জানান, মামলার ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। অন্য তিনজন এখনো জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে ওলামা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৫০ বছর বয়সী বিএনপি কর্মী আবুল হাশেমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এদিন নিহতের পিতা আবদুর শুক্কুর বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল