ভৈরবে হাঁস চুরির অপবাদ দিয়ে তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 25th, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় হাঁস চুরির অপবাদ দিয়ে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের কালিপুর নয়াহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া তরুণের নাম জনি মিয়া (১৯)। তিনি নয়াহাটি গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জনি পাটের বস্তার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। বুধবার রাতে তাঁর প্রতিবেশী হারুন মিয়ার বাড়ি থেকে সাতটি হাঁস চুরি হয়। প্রতিবেশীদের ধারণা, জনি হাঁস চুরির সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে জনির পরিবার বলেছে, চুরির সময় জনি দেখে ফেলেন। ফলে তিনি হাঁসগুলো উদ্ধার করতে সহায়তা করেন। দুপুরের দিকে হাঁস চুরির অভিযোগে এলাকার কয়েকজন জনিকে মারধর করেন। ঘরে ফিরে তিনি বমি করেন। পরে জনিকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
নিহত জনির মা জামিনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার চার সন্তান। জনি আমার একমাত্র ছেলে। হারুন মিয়ার ছেলে আল আমিনের নেতৃত্বে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়। মুখে ইঁদুর মারার বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। শারীরিক নির্যাতনে আমার ছেলের মৃত্যু হয়।’ জনির মাধ্যমে হাঁস ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জামিনা বেগমের ভাষ্য, ‘চুরির সময় আমার ছেলে দেখে ফেলে। এ জন্য চোরের নাম বলতে পারে ও হাঁস উদ্ধার হয়।’
আত্মগোপনে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে আল আমিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘এলাকার সবার বিশ্বাস, হাঁস চুরির সঙ্গে জনি জড়িত। পরে তাঁর মাধ্যমে হাঁস উদ্ধারও হয়। এ জন্য জনিকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়েছে। জনিকে উদ্ধার করে বাড়িতে দিয়ে আসে আমার স্বামী ও ছেলে আল আমিন। মারধরের সঙ্গে আমার পরিবারের কেউ জড়িত নয়।’ মরিয়ম বেগমের দাবি, জনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
ভৈরব থানার উপপরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.