পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তিনটি আলাদা অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৫ জন নিহত হয়েছে। তবে এই সময় তীব্র গোলাগুলির মধ্যে দেশটির দুই সেনাও নিহত হয়।

রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের অবস্থান টার্গেট করে আটজনকে হত্যা করা হয়।

এদিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আরেকটি অভিযানে চারজনকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে, এই সময় তীব্র গোলাগুলির সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ল্যান্স নায়েক উসমান মোহমান্দ এবং সিপাহী ইমরান খান নিহত হন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

অন্য আরেকটি অভিযানে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের গোমাল জাম এলাকায় আরও তিনজনকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী।

আইএসপিআর জানায়, নিহতদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।

এ ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের প্রশংসা করেছেন।

আসিফ আলী জারদারি বলেন, পাকিস্তানের বীর সেনারা ‘ফিতনা আল-খারিজ’কে পরাজিত করতে সফল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদের সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পুরো জাতি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান

রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে চালানো এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনো চলছে। 

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বহু ধারার উল্লেখ ছিল—এর কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, আর বাকিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের অভিযোগ, চুক্তির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

এই চুক্তির বিরোধিতা করেই ১৯৯৮ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি মূলত চুক্তিবিরোধী অবস্থান নিয়ে পাহাড়ি তরুণদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে।

এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দুই সংগঠনের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী নিহত হন, আর সশস্ত্র সহিংসতায় পাহাড়জুড়ে বিরাজ করে আতঙ্ক।

২০১০ সালে জেএসএসের মূল ধারা (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) থেকে একটি অংশ বেরিয়ে এসে জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন একটি সংগঠন গঠন করে।

পরে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন মূল সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আত্মপ্রকাশ করে। 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার: আইএসপিআর
  • রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান, একে৪৭সহ অস্ত্র–গোলাবারুদ উদ্ধার: আইএসপিআর
  • রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান