ওসমান পরিবার ও কাউন্সিলার মুন্নার অন্যতম সহযোগী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের দোসর ১৮ নং ওয়ার্ডের শ্রমিকলীগের কার্যকরি সদস্য আহসান হাবীব পলাশ।

গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নানা ছলাকৌশলে মেতে রয়েছেন তিনি। তার এই ভোল পাল্টানো নিয়ে বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

এরই মধ্যে বিএনপি নেতা জাকির খানের মুুক্তির পর জাকির খানের ছবি দিয়ে শহরের সর্বত্র পোষ্টার সাটানোর পর বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।  

অনেকেই বলছেন, পলাশের মতো ধূর্ত ধান্দাবাজ কিভাবে বিএনপির তারেক জিয়া পরিষদ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সভাপতি পরিচয় দেন? সে জাকির খানের মত জনপ্রিয় নেতার ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে জাকির খানের সম্মান ক্ষুন্ন করতে মাঠে নেমেছে।

আওয়ামী দোসরদের এজেন্ডা বাস্তবায়ণসহ জাকির খানের নাম বিক্রি করে অনৈতিকভাবে টাকা কামানোর মিশনে নেমেছে। 

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর ১৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো.

কামরুল হাসান মুন্নার ঘনিষ্ঠ লোক থাকার সুবাদে বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম দোসর সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবেই সর্বজন পরিচিত ছিলেন। 

শ্রমিকলীগের কমিটিতে সদস্য পদে থাকায় চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক জমি দখল ও স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা থাকায় সুবাদে প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে নিরীহ অসহায় লোকদেরকে  প্রশাসন ও মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় ও তার নিজস্ব তৈরি করা কিশোর গ্যাং গ্রুপের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও টিসিবির মালামাল চুরির মামলা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ মামলা এবং হত্যা মামলায় জেল খাটা হ অগনিত অপরাধ ও অপকর্মের খারাপ রেকর্ড রয়েছে। 

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বুকে সেলিম ওসমানের প্লেকার্ড ঝুলিয়ে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের ১৮ নং ওয়ার্ডের কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেয়ার কারিগর হিসেবেও তার ব্যাপক পরিচিতি ছিলো সে সময়ে।

সেলিম ওসমানের পক্ষে লাঙ্গলের জন্য ভোট চেয়ে প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন তিনি যা বিগত সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল ছিল। এবং নির্বাচনের আগে পলাশ ও তার বাবা গরু জবাই করে তা দিয়ে ভুড়িভোজের আয়োজন করেছিলেন ।

সেলিম ওসমানের আর্শীবাদে সে সময়ে তিনি ১৮ নং ওয়ার্ডের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো তার জিম্মায়। বর্তমানে ভোলপাল্টে জাকির খানকে মুক্তির শুভেচ্ছা দিয়ে নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয়ে পুর্বের ন্যায় বর্তমানে আধিপাত্য বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন তিনি।

পুর্বে সেলিম ওসমান ,শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান ও কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে নিজেকে তাদের ঘনিষ্ঠ লোক এবং বর্তমানে জাকির খানের ছবি দিয়ে তা দিয়ে পুর্বের ন্যায় বর্তমানেও নিজেকে জাকির খানের একনিষ্টকর্মী হিসেবে জাহির করতে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে, বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের সময় আওয়ামী দলের পরিচয় দেয়া এই স্বৈরাচারী আওয়ামী দোসর হুট করে ভোল পালটে কি করে বিএনপির তারেক জিয়া পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সভাপতি হয়ে গেল অভিমত চলছে ১৮ নং ওয়ার্ডের বিএনপি'র বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মাঝে।

গত (১৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কারাবন্ধি জাকির খানের মুক্তিলাভের পর ১৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে বিএনপি নেতা বনে যাওয়ার অপচেষ্টা করছেন এমনটাই অভিমত স্থানীয়দের ।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবী, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের শ্রমিকলীগের কমিটিতে সদস্য পদে থাকা আহসান হাবীব পলাশ বহুরুপী নিজের স্বার্থ হাসিল করা ছাড়া অন্য কিছু না।

স্বার্থের জন্য একেক সময় একেক জনের সাথে সর্ম্পক গড়ে তুলে টাকা কামানোটাকে পেশা হিসেবে গড়ে তুলছেন এই পলাশ। পলাশের সুবিধাবাদী এরুপ কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ ১৮ নং ওয়ার্ডের শহীদ নগর এলাকা সাধারন মানুষ।

অনতিবিলম্বে আহসান হাবীব পলাশের এরুপ কর্মকান্ড এবং সে যেন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ না করতে পারে সেজন্য জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ১৮ ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণসহ  সর্বস্তরের বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের ঘনিষ্ঠ লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির তাকে চিনে না।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ওসম ন ন র য়ণগঞ জ জ ল স ল ম ওসম ন ম ওসম ন র কর ম দ র ন ত কর ম ব এনপ র সরক র র র ব এনপ র ১৮ ন পল শ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে তিন হাজার নারী-পুরুষ পেলেন বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ

আড়াইহাজার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে তিন হাজার নারী-পুরুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে শুক্রবার সকাল ৭টায় শুরু হয় এ মেডিকেল ক্যাম্প। কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফতেপুর ইউনিয়ন শাখা।

এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ সকাল থেকেই সারিবদ্ধভাবে চিকিৎসা নিতে আসেন। চোখ, চর্ম, শিশু, নারী ও সাধারণ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে রোগ অনুযায়ী দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় ওষুধ। আয়োজকদের দাবি, সাড়ে তিন হাজারের মতো মানুষ সেবা নিয়েছেন এই কর্মসূচি থেকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক ইলিয়াছ মোল্লা। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ডা. আলী আশরাফ খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আড়াইহাজার উপজেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা হাদিউল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের এইচআরডি সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, উপজেলা বাইতুলমাল সম্পাদক ও তদারককারী প্রফেসর আজিজুল হক প্রমুখ।

কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফতেপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মো. রাসেল মাহমুদ। 

স্থানীয়ভাবে আয়োজনটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে। অনেকেই বলেন, এমন উদ্যোগে গ্রামের সাধারণ মানুষ বিনা খরচে চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • তারুণ্যের চোখে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন না’গঞ্জ জেলা আঞ্চলিক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
  • ফতুল্লায় গভীর রাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল, আটক ৫
  • নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে সিদ্ধিরগঞ্জে মহিলাদলের উঠান বৈঠক
  • সাংবাদিক শাওনের মায়ের মৃত্যুতে বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের শোক
  • আজাদের নির্দেশে বিশনন্দী ইউনিয়নে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
  • সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যকরী কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত 
  • আড়াইহাজারে তিন হাজার নারী-পুরুষ পেলেন বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ