ভারতে পাঠ্যবই থেকে বাদ মোগল-সুলতানি শাসন, যুক্ত মগধ মৌর্য শুঙ্গ
Published: 29th, April 2025 GMT
ভারতে সপ্তম শ্রেণির নতুন সমাজবিজ্ঞান বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দিল্লির মোগল এবং সুলতানি শাসনামলের কথা। এর বদলে নতুন সংযোজন করা হয়েছে ভারতীয় শাসকদের কথা।
নতুন শিক্ষানীতি অনুসরণ করে চলতি বছরে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সমাজবিজ্ঞানের নতুন বই প্রকাশ করেছে ভারতের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং–এনসিইআরটি। পুরোনো বইয়ে মোগল আমল এবং সুলতানি সাম্রাজ্য নিয়ে আলাদা দুটি পরিচ্ছদ ছিল। নতুন বইয়ে ওই পরিচ্ছদ দুটি আর নেই। এ দুটির পরিবর্তে প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের ওপর লেখা একটি নতুন পরিচ্ছদ। মোগল আমল ও সুলতানি সাম্রাজ্যর ওই পরিচ্ছদে মুহাম্মদ বিন তুঘলক, ইখতিয়ার উদ্দিন বিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি, মামলুক ও ইব্রাহিম লোদির কথাও পড়ানো হতো। এগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় শাসকদের মধ্য মগধ, মৌর্য ও শুঙ্গ সাম্রাজ্যসহ কয়েকজন শাসকের কথা নতুন বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। ২০২৫ সালে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে হওয়া কুম্ভমেলার প্রসঙ্গও আছে নতুন বইয়ে। এগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ এবং অটল টানেলের কথা। নতুন বইয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের২৮ এপ্রিল ২০২৫প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে এনসিইআরটি। নতুন বইগুলোতে ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এনসিইআরটির পাঠ্যপুস্তক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় বোর্ডের অধীন স্কুলগুলোতে পড়ানো হয়। এনসিইআরটির নির্দেশিকা মেনে গত কয়েক বছরে পরিবর্তন ঘটেছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম। কোনো শ্রেণিতে মোগল যুগ বাদ পড়েছে। কোথাও ডারউইনের বিবর্তনবাদ ও কোথাও নারী আন্দোলনের ইতিহাসও বাদ দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস ও আনন্দবাজার
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি ছাত্রদের ভিসা ফি আরও বাড়ছে২৮ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা: যাত্রা শুরু করবেন কোথা থেকে, কীভাবে?২৮ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামল
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।