সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা
Published: 11th, December 2025 GMT
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো.
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ম মল মন ত র গ জ ন র য়ণগঞ জ স আইড
এছাড়াও পড়ুন:
নানা আয়োজনে বেরোবিতে রোকেয়া দিবস পালিত
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে রোকেয়া দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী ।
এরপর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মাছুমা হাবিব।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর।
উপাচার্য অধ্যাপক শওকাত আলীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রায় যোগ দেন। শোভাযাত্রাটি শহীদ আবু সাঈদ চত্বর মডার্ন মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে এসে শেষ হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাধীনতা স্মারক মাঠে রোকেয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মাছুমা হাবিব।
তিনি বলেন, “রোকেয়ার দেখানো পথ ধরে আজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। নারী জাগরণ ও নারীশিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।”
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “লেখক হিসেবে রোকেয়া সাখাওয়াত ছিলেন বাস্তবতবাদী। এটি রোকেয়ার রচনা বা কাজের প্রধান সূত্র। রোকেয়া তুলনামূলক কম প্রবন্ধ লিখলেও বাংলা ভাষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন স্বতন্ত্র ধারার প্রাবন্ধিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।”
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বিশ শতকের প্রথম দিকে নারীসমাজে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।”
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী বলেন, “নারী জাগরণ, শিক্ষার প্রসার, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও সাম্যের চেতনায় রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যে স্বপ্ন লালন করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজ নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন।”
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোকেয়া দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সচিব মো. সেলিম রেজা, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কুন্তলা চৌধুরী, বেরোবি ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ এক্সিলেন্সের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার মেহজাবীন ইলাহী, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হানি জোহরা তানিয়া।
ঢাকা/সাজ্জাদ/রাসেল