যৌন হয়রানির অভিযোগ কমিটিতে বাইরের সদস্য বাধ্যতামূলক করার আহ্বান
Published: 11th, December 2025 GMT
যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫–এর খসড়ায় অভিযোগ কমিটিতে বাইরের সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অভিযোগ তদন্ত করা ও পদক্ষেপ নেওয়া বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি অভিযোগ কমিটিতে বাইরের সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘যৌন হয়রানির অভিযোগ কমিটি: বাইরের সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা নেই’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেখান থেকে জানা যায়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রস্তুত করা যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫–এর খসড়াতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে গঠিত অভিযোগ কমিটিতে বাইরের কাউকে রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে বাইরের সদস্য রাখা যাবে।
বিবৃতিতে বলা হয় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এক রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে অভিযোগ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। ওই অভিযোগ কমিটিতে প্রতিষ্ঠানের বাইরের দুজন সদস্য রাখার কথা বলা হয়েছে। অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, যৌন হয়রানির ঘটনায় বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণে অনেক সময় ব্যত্যয় ঘটে। অভিযোগ কমিটির কাজ বস্তুনিষ্ঠ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য কমিটিতে বাইরের সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা থাকা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫–এর খসড়াতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধকল্পে গঠিত অভিযোগ কমিটিতে বাইরের সদস্য রাখার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ন হয়র ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের ৯৬% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিয়মিত এআই ব্যবহার করেন: টেলিনর এশিয়ার গবেষণা
দেশের ৯৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিয়মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করেন। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শুরু করে আর্থিক সেবা গ্রহণ, দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন ও তথ্যপ্রাপ্তি—সব ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মুঠোফোন।
‘টেলিনর এশিয়া ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড ২০২৫: বিল্ডিং ট্রাস্ট ইন বাংলাদেশ’স এআই ফিউচার’ শীর্ষক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রযাত্রা এবং দায়িত্বশীল, নৈতিক ও নিরাপদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন প্রতিদিন কোনো না কোনো ধরনের এআই ব্যবহার করছেন। স্কুল, অফিস বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কনটেন্ট তৈরি এবং স্বাস্থ্য, আর্থিক সেবা বা ভ্রমণ পরিকল্পনার মতো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পরামর্শ পেতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিচ্ছেন তাঁরা।
কর্মক্ষেত্র, দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং অনলাইনে কেনাকাটায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের দ্রুত বৃদ্ধি ইঙ্গিত দেয় যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের হার ২০২৫ সালে ৪৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশ হয়েছে। তবে এআইয়ের ওপর মানুষের অতিনির্ভরতা, চাকরির নিরাপত্তাহীনতা এবং গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইওন ওমুন্ড রেভহগ বলেন, ‘বাংলাদেশে দৈনন্দিন জীবনকে বদলে দিতে মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্মার্ট ও আরও সংযুক্ত সমাজ গঠনে এটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। প্রাত্যহিক জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধি টেলিকম অপারেটরদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণে নতুন সুযোগ ও দায়িত্ব এনে দিয়েছে।’