কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৪
Published: 30th, April 2025 GMT
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কলকাতার বড়বাজারে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে বড় বাজারের মদনমোহন রোডে অবস্থিত ‘ঋতুরাজ’ নামক হোটেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আগুন আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই তখন নিচে ঝাঁপ দেন কেউবা ছাদে উঠে যান। এমন অবস্থায় রাতেই কার্নিস থেকে পড়ে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গভীর রাতে ঘন ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরো ১৩ জনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিস এবং কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা দলের সদস্যরা। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। একে একে প্রায় ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।
হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো তা এখনো পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে রাতের দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা।
আরো পড়ুন:
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী
‘আমি যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি, সে দেখতে চাকরানীর মতো’
অগ্নিকাণ্ডের পরই মঙ্গলবার রাত থেকে বেশ কয়েকটি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এরপর ওই হোটেলটি থেকে একের পর এক লাশ বের করা হয়। ঘটনার পর থেকেই হোটেল মালিক পলাতক।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বার্মা জানিয়েছেন, রাত ৮ টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে কলকাতা শহরের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সাম্প্রতিকালে কলকাতা শহরে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে অন্যতম ২০১০ সালের মার্চ মাসে স্টিফেন কোর্টের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন র ম ত য কলক ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে উদ্ধারে পাশে ৪০ ফুট গভীর গর্ত খনন করা হয়েছে। মূল সরু গর্তে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন সুড়ঙ্গ করার কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত সাজিদের দেখা মেলেনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মায়ের পেছন পেছন হাঁটার সময় গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর থেকে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। বুধবার থেকেই ওই গর্তে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
আরো পড়ুন:
৩৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠিয়েও দেখা যায়নি সাজিদকে
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
তানোরের এই এলাকাটি উচ্চ খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে মাটির ১২০ থেকে ১৩০ ফুট গভীরেও ভূ-গর্ভস্থ পানির সন্ধান মেলে না। জমির মালিক কছির উদ্দিন একটি গভীর নলকূপ বসাতে চেয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ৮ ফুট ব্যাসার্ধে খনন করেছিলেন। পানি না পেয়ে গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে সাজিদ। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছিল, শিশুটি প্রায় ৩৫ ফুট নিচে পড়ে গেছে।
ক্যামেরা নামিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে পাননি। বিকেল থেকে ওই সরু গর্তের পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন শুরু করেন তারা। পর পর তিনটি স্কেভেটর যন্ত্র আনা হয়। এগুলোর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করা সম্ভব হয়। এরপর সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। গর্ত কাটা শেষে এখন সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছে। আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে চাই।”
এদিকে, অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা দেখছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ