সাভারের আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মো. মোজাফফর হোসাইন জয়কে সভাপতি এবং যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাহাফুজুর রহমান নিপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।  

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে আশুলিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি আগামী এক বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করবে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি লাইজু আহাম্মেদ চৌধুরী (মোহনা টিভি), অপু ওহাব (চ্যানেল ২৪), জাকির হাসান (চ্যানেল আই), মেহেদী হাসান মিঠু (যুগান্তর), শেফালী আক্তার মিতু (বাংলাভিশন), ওমর ফারুক (আরটিভি), যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক (দিনকাল), সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা (বণিক বার্তা), অর্থ সম্পাদক তুহিন আহামেদ (নয়া দিগন্ত), দপ্তর সম্পাদক সফি মাহামুদ চৌধুরী (ডিবিসি নিউজ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আল মামুন (জাগো নিউজ), নির্বাহী সদস্য জহিরুল ইসলাম লিটন (এশিয়ান টিভি) এবং শাহিনুর রহমান শাহিন (দৈনিক খোলা কাগজ)। 

আরো পড়ুন:

প্রেস সচিব
১৬ বছর গণমাধ্যমের ভূমিকা মূল্যায়নে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাওয়া হবে

কাদের গনি
শ্রমজীবী মানুষ হিসেবে বঞ্চনার শিকার বাংলাদেশের সাংবাদিকরা

এই কমিটি গঠনতন্ত্র সংশোধন, সদস্য তালিকা প্রস্তুত ও প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন উপহার দেবে। ২০০৫ সালে আশুলিয়া প্রেস ক্লাব মূলধারার সংবাদকর্মীদের নিয়ে গঠিত হয়।

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ