গাইবান্ধায় পল্লিচিকিৎসককে অপহরণের ভিডিও ভাইরাল
Published: 3rd, May 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যামব্রিয়ানের ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার মামলায় দুই যুবকের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর ক্যামব্রিয়ান কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায়কে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার মামলায় দুই যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন আবদুল্লাহ (২২) ও জোনায়েদ দেওয়ান (২২)।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন জানান, আজ বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই হাসমত আলী দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার বাগানবাড়ি চৌরাস্তা এলাকা থেকে আবদুল্লাহ ও জোনায়েদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহ আলী থানার দিয়াবাড়ি এলাকার একটি বাসা থেকে সুদীপ্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের ভাষ্যমতে, সুদীপ্ত রায় (১৭) ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের জগন্নাথপুর শাখার একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে রাজধানীর ভাটারার শহীদ আবদুল আজিজ সড়কে ক্যামব্রিয়ান কলেজের হোস্টেলে থাকত। ৭ নভেম্বর বিকেল পৌনে চারটার দিকে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হোস্টেল থেকে বের হওয়ার পর তাকে অপহরণ করা হয়।
সুদীপ্তকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা হিমাংশু কুমার রায় ৮ নভেম্বর ভাটারা থানায় অপহরণের একটি অভিযোগ করেন। সুদীপ্তর লাশ উদ্ধারের পর সেটি হত্যা মামলা হয়। মামলায় বলা হয়, ৭ নভেম্বর রাত পৌনে তিনটার দিকে সুদীপ্তর মোবাইল থেকে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা ৮০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবি করা টাকা না দিলে সুদীপ্তকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। রাত তিনটার দিকে আবার ফোন দিয়ে জানতে চান, তাঁরা কত টাকা দিতে পারবেন। ১০ লাখ টাকা দিতে পারবেন বলে জানানো হয়। পরে সুদীপ্তর পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ নভেম্বর রাতে জানানো হয়, তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারবেন। সেই টাকা ময়মনসিংহে দিয়ে আসতে বলেন অপহরণকারীরা। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় তাঁরা সেদিন টাকা নিয়ে যেতে পারেননি। টাকা না পেয়ে তাঁরা সুদীপ্তকে হত্যা করেন।