কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের চর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে দ্বীপের পশ্চিমপাড়া চর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, লাশটি জোয়ারের তোড়ে সোনাদিয়ার চরে ভেসে এসেছে। স্থানীয় জেলেরা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য একরাম মিয়া বলেন, ওই যুবকের আনুমানিক বয়স ২৮ বছর। তাঁর পরনে হাফ প্যান্ট, টি–শার্ট ও লাইফ জ্যাকেট এবং কানে হেডফোন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি কোনো পর্যটকের লাশ।

মহেশখালী থানার পরিদর্শক প্রতুল কুমার শীল প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তি শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। লাশটি সাগরে ভেসে এলেও পচন ধরেনি। নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্তে তাঁর আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হবে।

জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। কোথাও কোনো পর্যটক নিখোঁজ রয়েছে কি না, খবর নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বক র

এছাড়াও পড়ুন:

প্লে-অফের দ্বারপ্রা‌ন্তে পাঞ্জাব কিংস

ধর্মশালার হিমালয় ঘেরা মাঠে পাঞ্জাব কিংস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি লড়াইয়ে উত্তেজনার কমতি ছিল না। পাঞ্জাব কিংসের পেসার আর্শদীপ সিংয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লক্ষ্ণৌর টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব কিংস ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৬ রান তোলে। প্রভসিমরন সিং ৪৮ বলে ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৮টি চার। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ২৫ বলে ৪৫ রান করেন। জশ ইংলিস ১৪ বলে ৩০ রান করে দলের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেন।

রান তাড়া করতে নামা লক্ষ্ণৌর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের হাতে বল তুলে দেওয়া হয়। তিনি প্রথমে মিচেল মার্শকে শূন্যরানে নেহাল ওয়াদেরার হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। এরপর একই ওভারে এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে দেন। পরবর্তীতে নিকোলাস পুরানকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এই তিনটি উইকেট পাওয়ার মাধ্যমে আর্শদীপ লক্ষ্ণৌর টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

বড় জয়ে বিজয়-শরিফুলদের সিরিজ শুরু

আইপিএলে ইতিহাস গড়া ছয় বলে ছয় ছক্কা

৫ উইকেটে ৭৩ রান হারিয়ে বিপদে পড়া লক্ষ্ণৌকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আয়ুশ বাদোনি ও আব্দুল সামাদ। তারা ৮১ রানের জুটি গড়েন। সামাদ ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। বাদোনি ৪০ বলে ৭৪ রানের সাহসী ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৫টি ছক্কা ও ৫টি চার। তবে তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও লক্ষ্ণৌ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানেই থেমে যায়। পাঞ্জাব কিংস ৩৭ রানে জয় লাভ করে।

এই জয়ে তারা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। অন্যদিকে, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ১০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে অবস্থান করছে।

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন প্রভসিমরন সিং (৯১ রান)।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ