আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে প্রথমবার মিরাজ
Published: 5th, May 2025 GMT
এপ্রিলে ব্যাট-বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে। সেই পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।এবার তার সামনে আইসিসির স্বীকৃতির হাতছানি।
আইসিসির মাস সেরা ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন মিরাজ। প্রথমবারের মতো আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। তার সঙ্গে তালিকায় রয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউ জিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স।
সোমবার (৫ মে) আইসিসি পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের এপ্রিলের মাস সেরা খেলোয়াড়দের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস, স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।
আরো পড়ুন:
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে বাংলাদেশ
প্লে-অফের দ্বারপ্রান্তে পাঞ্জাব কিংস
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অর্জনের ঝুলি ‘টইটুম্বুর’ ছিল মিরাজের। সিলেটে ম্যাচ হারলেও মিরাজ দুই ইনিংসে ৫টি করে উইকেট পেয়েছিলেন। ম্যাচে ১০ উইকেট নিজের কাজটা ঠিকটাক করেছিলেন। চট্টগ্রামেও মিরাজ ধরে রেখেছিলেন ছন্দ। ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। বল হাতে নিয়েছিলে ৫ উইকেট।
টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তোলেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পথে তুলে নিয়েছিলেন সাদা পোশাকে ২ হাজার রান। ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবলে নাম লিখিছেন সাকিবের পর। এছাড়া একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট শিকারি বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হয়েছিলেন তিনি। আবার সিরিজে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটারও হয়েছেন। আলো ছড়িয়ে এবার আইসিসির স্বীকৃতির অপেক্ষায় বাংলাদেশের তারকা।
জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুরাজাবানি সিরিজে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ উইকেট শিকারি ছিলেন।২০.
ঢাকা/ইয়াসিন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স র উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অবনমন
মাস দুয়েক আগেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ লাফ দিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে টানা ব্যর্থতার কারণে সেই অর্জন ফিকে হয়ে গেল। টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারের ধাক্কায় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ নিচে নেমে গেল আফঈদা-ঋতুপর্ণাদের দল।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপসেরা হয়ে মূল পর্বে ওঠার পর আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ১০৪তম স্থানে উঠে এসেছিল, যা ছিল দলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অবস্থান। সেই সময় তাদের র্যাঙ্কিং পয়েন্ট ছিল ১১৮০।
আরো পড়ুন:
আসিফের মন্তব্যে বাফুফের কাছে বিসিবি সভাপতির দুঃখ প্রকাশ
ফ্লাইট মিস করার পর ঢাকায় পা রাখলেন হামজা
এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের সাফল্যের পর বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে দেখা দিয়েছে ধারাবাহিক অবনতি। সাম্প্রতিক সময়ে খেলা চারটি ম্যাচের ফলই ছিল নেতিবাচক, যা র্যাঙ্কিংয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।
অক্টোবর (ব্যাংকক): থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যথাক্রমে ৩-০ এবং ৫-১ গোলে পরাজিত হয়।
নভেম্বর-ডিসেম্বর (ঢাকা): ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত তিন জাতি সিরিজে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে এবং আজারবাইজানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়।
টানা চারটি পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশ এখন ১০৪ নম্বর থেকে নেমে এসেছে ১১২ নম্বরে। তাদের বর্তমান র্যাঙ্কিং পয়েন্টও ১১৮০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১১৬৮।
যে দলগুলোর কাছে বাংলাদেশ হেরেছে, তাদের র্যাঙ্কিং প্রায় অপরিবর্তিত বা উন্নতি হয়েছে। থাইল্যান্ড (৫৩) এবং আজারবাইজান (৭৪) তাদের পূর্বের অবস্থানেই আছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া মালয়েশিয়া এক ধাপ উন্নতি করে এখন ৯১ নম্বরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ নারী দলের এই র্যাঙ্কিং পতন স্পষ্টতই সাম্প্রতিক দুর্বল পারফরম্যান্সের ফল। কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের এখন এই পিছিয়ে পড়া কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
ঢাকা/আমিনুল