রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টসহ পুলিৎজার পুরস্কার পেল কারা
Published: 6th, May 2025 GMT
সাংবাদিকতার নোবেল খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী সংবাদমাধ্যমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছর এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্ট ছাড়াও আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। সোমবার এবারের পুলিৎজার বিজয়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী মাদক ফেন্টানিলের সহজলভ্যতা এবং দেশটি ছাড়াও অন্যত্র এ মাদকের কারবারে শিথিল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নির্ভিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্রেকিং নিউজের জন্য সম্মানজনক পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। গত বছরের ১৩ জুলাই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার খবর প্রচার করে ব্রেকিং নিউজ শাখায় পুলিৎজার পেয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
নিউইয়র্ক টাইমস এবার চারটি শাখায় পুলিৎজার জিতেছে।
গর্ভপাত নিয়ে কঠোর আইন থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোয় জরুরি প্রয়োজনের সময় চিকিৎসকদের বিলম্বের জেরে মারা যাওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন করে পাবলিক সার্ভিস শাখায় পুলিৎজার পেয়েছে প্রোরিপাবলিকা।
বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন শাখায় এ বছর পুলিৎজার পেয়েছেন নিউইয়র্ক টাইমসের আজম আহমেদ ও ক্রিস্টিনা গোল্ডবাম এবং প্রদায়ক ম্যাথিউ আইকিনস। স্থানীয় সংবাদ শাখায় পুরস্কার পেয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস ও বাল্টিমোর ব্যানার।
আফ্রিকার দেশ সুদানের সংঘাত নিয়ে সাংবাদিকতার জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন শাখায় পুলিৎজার পেয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। আর বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধারাবাহিক পরিবর্তনের বিষয়ে প্রতিবেদন করে জাতীয় সংবাদ শাখায় সাংবাদিকতার জন্য পুলিৎজার গেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ঝুলিতে।
ফিচার লিখে পুলিৎজার পেয়েছেন মার্কিন সাময়িকী এসকোয়ারের প্রদায়ক মার্ক ওয়ারেন। ফিলিস্তিনের গাজার মোসাব আবু তোহা ধারাভাষ্যে এ পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি নিউইয়র্কার পত্রিকার প্রদায়ক। আর সমালোচনামূলক লেখায় পুরস্কার পেয়েছেন ব্লুমবার্গ সিটিল্যাবের প্রদায়ক আলেকজান্দ্রা লানজে।
সম্পাদকীয় শাখায় পুলিৎজার পেয়েছে হিউস্টন ক্রোনিকল। চিত্রায়িত প্রতিবেদন ও ধারাভাষ্য শাখায় পুরস্কার জিতে নিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। আলোকচিত্রের ব্রেকিং নিউজ শাখার পুরস্কার গেছে নিউইয়র্ক টাইমসের ঝুলিতে। ফিচার আলোকচিত্রে এ পুরস্কার পেয়েছে নিউইয়র্কার। প্রতিষ্ঠানটি অডিও প্রতিবেদন শাখায়ও পুলিৎজার পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ পুরস্কার সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ হিসেবেও খ্যাত। ১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতিবছর এ পুরস্কার ঘোষণা করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রস ক র রয়ট র স ন উইয়র ক ট ইমস ন উইয়র ক ট ইমস প রস ক র প য় ছ এ প রস ক র ব দ কত র টন প স ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
‘বেসবলে’ ৬৭৫০ স্বাক্ষর
যুক্তরাষ্ট্রে ৮ ফুট ব্যাসের বিশাল আকৃতির একটি বেসবল একটার পর একটা মাঠ ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভক্ত-দর্শকেরা হইহই করে সেটি দেখতে যাচ্ছেন, বলের গায়ে নিজেদের নাম সই করছেন। এই সই করতে করতেই বলটি নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।
বিশাল বলটি তৈরি এবং সেটিতে স্বাক্ষর গ্রহণের এ উদ্যোগ মাইনর লিগ বেসবল কর্তৃপক্ষের। গত ২৪ জুন ইন্ডিয়ানাপোলিস ইন্ডিয়ানস দলের মাঠ ভিক্টরি ফিল্ড থেকে বলটি যাত্রা শুরু করে। এরপর এটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১৫টি মাইনর লিগ মাঠে ঘুরে বেড়ায়।
বলটির শেষ গন্তব্য ছিল নিউইয়র্ক শহরে মাইনর লিগ বেসবলের মূল মাঠ (ফ্ল্যাগশিপ)। গত মঙ্গলবার বলটি সেখানে পৌঁছায়। এরপর সেখানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একজন প্রতিনিধি বলটি পরীক্ষা করেন এবং এক এক করে গুণে দেখে নিশ্চিত করেন, এর গায়ে মোট ৬ হাজার ৭৫০টি স্বাক্ষর রয়েছে। একক কোনো ক্রীড়া স্মারকে এটিই এখন সর্বাধিক স্বাক্ষরের রেকর্ড। সেদিনই গিনেস রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বলটির এ বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি দেয়।
এর আগে এ রেকর্ড ছিল যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের, যাঁরা একটি বিশাল জার্সিতে ২ হাজার ১৪৬টি স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। নতুন রেকর্ডটি সেই সংখ্যাকে অনেকটাই ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্ব রেকর্ড গড়া বলটি শুধু আকারেই বিশাল নয়, ওজনেও ভারী। সেটির ওজন প্রায় ১ হাজার ২০০ পাউন্ড। এটি বিশেষভাবে তৈরি স্বচ্ছ অ্যাক্রিলিক কেসে এক মাঠ থেকে আরেক মাঠে ভ্রমণ করেছে। উদ্দেশ্য ছিল, এটিকে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মানুষ যেন দেখতে পায় এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
মাইনর লিগ বেসবলের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের পেছনে ছিল একটি চিন্তা। তাদের বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন সাটন বলেন, ‘সাধারণত খেলোয়াড়েরা বল সই করেন, এবার আমরা চেয়েছি উল্টোটা হোক। ভক্তরা সই করবে আর সেই বল ইতিহাস গড়বে।’
ছয় সপ্তাহ ধরে বলটি ২ হাজার ৬০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়েছে। যাত্রাপথে বলটি যে ১৫টি মাঠ ঘুরেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে ফোর্ট ওয়েইন, ডেটন, লুইসভিল, সিরাকিউজ, বাফেলো, ইরি, আলটুনাসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বেসবল মাঠ। নিউইয়র্কে শেষ দিনে ৬৮৪ দর্শনার্থী বলে সই করেন। সবশেষ স্বাক্ষরটি করেন মাইনর লিগ বেসবলের কমিশনার রব ম্যানফ্রেড।