মিথিলাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ, কাগজ দেখাতে পারলে মেনে নেবেন হিরো আলম
Published: 6th, May 2025 GMT
সম্প্রতি বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১-এ হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ মারধর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে হিরো আলম বলেছেন, ‘‘ওই নারী যদি বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আমি তাকে বউ হিসেবে গ্রহণ করব।’’
মঙ্গলবার বিকেলে হিরো আলম বগুড়ার এরুলিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। এ সময় তিনি তার সম্মান ক্ষুন্নের অভিযোগে ওই নারী এবং তার সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ‘‘গতকাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সাংবাদিক ফোন দিয়েছেন, আমার নাকি কোর্টে মামলা হয়েছে। বিষয়টি জানতাম না। সকালে কোর্টে গিয়ে মামলার নথি উঠিয়েছি। যিনি মামলা করেছেন তিনি কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমার সাথে এবং তার মেয়ের সাথে তার ভালো বন্ধুত্ব। সে অনুযায়ী কিন্তু সে আমাদের বাসায় ২ মাস ভাড়া ছিল। ভাড়া থাকাকালীন আমার বাবার সাথে তার ভালো সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সুবাদে আমার বাবা যখন অসুস্থ তখন সে ঢাকায় আমার বাবার সেবা করে।’’
‘‘কয়েকদিন আগে সে দাবি করে আমি তাকে বিয়ে করেছি। কিন্তু বিয়ের কাবিন দেখাতে বললে সে দেখাতে পারেনি। দেন মোহরের বিষয়ে সে জানিয়েছিল ১০১ টাকা দেন মোহর করা হয়েছে। এগুলো গুজব। গুজবের পেছনে কাজ করছে রিয়া মনি। সে আমাকে বলছে, ‘তুই আমাদের বাদ দিয়ে ১০টা বেটিছোলক লিয়া নাজগান করবু, তোর ব্যবস্থা করতেছি। তোকে চৌদ্দ শিকে ভরে রাখমু।’ কিন্তু আমাকে আটকানোর মতো কোন তথ্যপ্রমাণ রিয়া মনির কাছে নাই। সে যে আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে সেটাও করতে পারছে না। তাই সে এই মেয়েকে নিয়ে খেলছে।’’
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট উল্লে করে হিরো আলম আরো বলেন, ‘‘আমার সম্মান নষ্ট করছে। এজন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা করবো। তারা যে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মামলায় সে উল্লেখ করেছে, সে নায়িকা হওয়ার জন্য আমার কাছে এসেছিল। আপনারা বিষয়টি অনুসন্ধান করলে দেখবেন- সে মিডিয়ার কেউ না। ওই মেয়ের স্বামী আছে। নাম চমন। দুইটা ছেলে সন্তানও রয়েছে।’’
‘‘সে বিয়ের কথা বলছে, বিয়ের কোনো সাক্ষীপ্রমাণ আছে? বিয়ের যদি কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আমি তাকে বউ হিসেবে গ্রহণ করে নেব। সে যে কথাবার্তা বলছে এগুলো প্রমাণ করতে পারলে আমি আইনীভাবে যে শাস্তি হবে মাথা পেতে নেব। আর যদি প্রমাণ করতে না পারে তাহলে তাদের শাস্তি পেতে হবে।’’ বলেন হিরো আলম।
আইনের প্রতি আমার আস্থা আছে উল্লেখ করে এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘‘পিবিআই যেন অবশ্যই আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে। আপনারা সবাই জানেন আমার তিনটা বিয়ে হয়েছিল। প্রথম বউয়ের নাম সুমি, দ্বিতীয় নুসরাত আর তৃতীয় রিয়া মনি। আমার তিনটা বউ কি কারণে গেছে বিস্তারিত বলেছি। যেহেতু রিয়া মনি আর মিথিলা আমার সম্মান নিয়ে টানাহেচড়া করছে তাই আমি তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করবো। এই দু’জনকে যারা উস্কানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো।’’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘‘হিরো আলম আগে স্বতন্ত্র ছিলো, এখনও স্বতন্ত্র। কেউ কাগজকলমে দেখাতে পারবে না, হিরো আলম এই দলের সাথে যুক্ত ছিলো।’’
উল্লেখ্য হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ মারধর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা করেন মিথিলা। মামলায় হিরো আলমসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। রবিবার (৪ মে) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১-এ তিনি এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, হিরো আলমের মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক, স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবাবী সেলিম। মামলার পর বিচারক মো.
ঢাকা/এনাম//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে পুলিশের উপস্থিতিতে বৃদ্ধার বাড়িতে আলমগীর বাহিনীর হামলা
বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকায় ইট ভাটায় মাটি বিক্রি না করায় নিরীহ নিরঅপরাধ বৃদ্ধ দম্পতির বুড়া বুড়ির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে একটি ইটভাটা মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
এরপর উল্টো তাদের ধরে নিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন পরে জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগী এই ঘটনায় থানা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিলে আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
জানা গেছে বন্দরের জাঙ্গালের বাগদোবাড়ী এলাকায় অবস্থিত তিনটি বিকফিল্ডের মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন সে অন্যর জমি জোর করে দখল করে মাটি কেটে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে বেশ কয়েকটি দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে। রাতের আধারে মানুষের কৃষি জমির মাটি অবৈধ ভাবে কেটে নিয়ে অনেক অসহায় মানুষকে নিঃস্ব করেছেন। আর তার এসব কাজে তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে করে থাকেন।
তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে বা এবং ভূমি দস্যু আলমগীরকে তার ইচ্ছামত মাটি কাটতে না দিলেই পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকেন। আর এমনটাই ঘঠেছে এই বৃদ্ধা দম্পত্তির সাথে।
বৃদ্ধা ভুক্তভোগী মিনারা জানান ২০ই এপ্রিল রবিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে গভীর রাত তিনটা পর্যন্ত বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার জলিল, তার সাথে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শরীফ ও কামতাল ফাঁড়ির এএসআই মনির সহ প্রায় ২৫ জন পুলিশ আমার বাড়ির চারদিকে ঘেরাও করে রাখে।
এ সময় গনপ ইটভাটার মালিক আলমগীর ও তার সাথে থাকা ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনীর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বাড়ির চারপাশে অবস্থান নেয়। আমরা গেট না খুললে ব্যাপক হামলা লুটপাট চালায়।
পরবর্তীতে বন্দর থানা পুলিশ বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আমাকেও আমার বিরুদ্ধে স্বামীকে জোরপূর্বক থানা পুলিশের ভ্যানে তুলতে চায় বন্দর থানা পুলিশ কোন মামলা ছাড়ে বিনা ওয়ারেন্টে আমাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এই সময় আমি মামলা ছাড়া বিনা ওয়ারেন্টে কেন থানায় নিয়ে যাবেন জানতে চাইলে আমি ও আমার স্বামি আব্দুল বাতেনকে বেদম প্রহার করেন। আমি একজন বৃদ্ধ মহিলা হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ আমাকে চারটি বেত্রাঘাত করেন। তখন আমি পুলিশের হাতে পায়ে ধরে কোনমতে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাই। পরে আমার স্বামিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভূমি আইন ২০২৩ এর ১০/১৩/১৬/ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা ২৪/০৪/২০২৫ দায়ের করেন। এই ঘটনার পর থেকেই ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ভূমিদস্যু আলমগীর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।