ইতালির ফুটবলে তো বটেই ইন্টার মিলানের খুব পুরনো এক রক্ষণ কৌশল হলো ‘লো ব্লক’। রক্ষণে একেবারেই জায়গা না ছাড়ার এই কৌশলের সঙ্গে ‘ফলস ডিফেন্স’ যোগ করেছেন সিমোন ইনজাঘি। তিনি দুই মিডফিল্ডারকে রক্ষণে নামিয়ে এনে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে তুলে আনেন। নিচ থেকে সাজান খেলা।

বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী উইঙ্গার লামিন ইয়ামালের বিপক্ষে ইন্টার মিলানের ওই ‘লো ব্লক’ ডিফেন্স আত্মঘাতী হতে পারে বলে কলামে উল্লেখ করেছেন সাবেক এসি মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলো। 

ইতালির সংবাদ মাধ্যম লা গেজ্জেত্তে দেল্লে স্পোর্তয় তিনি লিখেছেন, ‘ভালো পায়ের কথা যদি বলি, লামিনে ইয়ামালের কথা কীভাবে না বলে থাকা যায়? সান সিরোতে এটা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে, তার মানে এমন ভাবার সুযোগ নেই যে, তার পা কাঁপবে। বরং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে সে বুঝিয়ে দিয়েছে সে চ্যাম্পিয়নের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, তার লেভেল শীর্ষ পর্যায়ের।

সে কারণেই আমি মনে করি, ইন্টার মিলান যদি ম্যাচে ভারসাম্য রাখতে চায় তাদের লো ব্লক (রক্ষণে নিচে নেমে মাঠ ছোট করে খেলা) এড়িয়ে চলতে হবে। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে তারা শেষ ২০ মিনিট ওই কাজই করেছিল। কিন্তু লামিনের সামনে এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হতে পারে।’ 

ফ্যাবিও ক্যাপেলোর পরামর্শ অবশ্য ইনজাঘি শুনবেন বলে মনে হয় না। ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারা কোচ সিমন ইনজাঘি বরং ইয়ামালকে বন্দি করতে রক্ষণে খাঁচা তৈরির পরিকল্পনা করছেন। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম স্পোর্তর মতে, ইয়ামালকে বন্দি করতে ইনজাঘি দুই-তিনজন ফুটবলার লাগলেও লাগাবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম ল ন ইন ট র ইনজ ঘ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ