সাকিব আল হাসান ও উম্মে আহমেদ শিশিরের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে ফের ছড়িয়েছে গুজব। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়ায়, যাকে ঘিরে কিছু অনলাইন গণমাধ্যম যাচাই না করেই খবরও প্রকাশ করে। তবে বাস্তবে এসব গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। বরং সাকিব-শিশির যুক্তরাষ্ট্রে সময় কাটাচ্ছেন ভালোভাবেই।

বুধবার (৭ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে স্ত্রী শিশিরের সঙ্গে একটি রোমান্টিক ছবি পোস্ট করেন সাকিব। ছবির ক্যাপশনে কিছু না লিখলেও, ভক্তরা ঠিকই বুঝে নিয়েছেন—সব কিছু ঠিকঠাক আছে। পোস্টের কমেন্টবক্স ভরে যায় শুভকামনায়, অনেকেই গুজব ছড়ানো নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন।

          View this post on Instagram                      

A post shared by shakib al hasan (@shaki_b75)

তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রও জানিয়েছে, দাম্পত্য জীবনে কোনো সমস্যা নেই সাকিব-শিশিরের। এমনকি তাদের পরিবারের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে, দুজনেই ভালো আছেন।

এর আগেও এমন গুজব ছড়িয়েছে। একবার শিশির ফেসবুক থেকে সাকিবের বেশ কিছু ছবি সরিয়ে ফেলেছিলেন, তখনও বিচ্ছেদের জল্পনা উঠেছিল। পরে ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট শিশির নিজেই এক দীর্ঘ পোস্টে জানিয়েছিলেন, তাদের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই।

জুলাই- আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লিগ পতনের পর দীর্ঘদিন দেশে ফেরেননি সাকিব। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই অলরাউন্ডার বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই অবস্থান করছেন। যদিও তিনি ক্রিকেট থেকে একেবারে দূরে তা নয় কিন্তু মাঠে তার ফেরার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই ক্ষীণ। তবে ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সাকিব বেশ নির্ভার সময় কাটাচ্ছেন বলেই জানা গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

রয়্যাল সোসাইটি অব লিটারেচারের নতুন সভাপতি এলিফ শাফাক

ঔপন্যাসিক এলিফ শাফাক যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি অব লিটারেচারের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বিদায়ী সভাপতি বার্নার্দিন ইভারিস্টোর চার বছরের মেয়াদ শেষে তিনি এ দায়িত্ব নিচ্ছেন।

ব্রিটিশ-তুর্কি এই লেখক দ্য আইল্যান্ড অব মিসিং ট্রিস ও দেয়ার আর রিভারস ইন দ্য স্কাইসহ বহু উপন্যাসের রচয়িতা। সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভায় ফেলোদের ভোটে তাঁকে নির্বাচন করা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা করা হয়।

এলিফ শাফাক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘তাঁদের সিদ্ধান্তে আমি আবেগাপ্লুত। আমার কাছে ফেলোশিপ মানে কেবল সংগঠনে যোগ দেওয়া নয়। আমি মনে করি, এর মানে হলো সহযোগিতা, সংহতি ও একসঙ্গে থাকা। আমরা অস্থির ও কঠিন সময় পার করছি। লেখক, গ্রন্থাগারিকসহ সবার সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ।’

তাঁর মেয়াদকালে নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা থাকলেও এলিফ শাফাক বলেন, ‘প্রথমত, আমি সবার কথা শুনতে চাই। আমার সহলেখক ও কবিদের ভাবনা ও প্রস্তাব জানতে চাই।’

এজিএমে মেয়াদ শেষে সদ্য সাবেক সভাপতি ইভারিস্টো বলেন, ‘শাফাক নির্বাচিত হওয়ায় আমি খুশি। তিনি বিশ্বব্যাপী বেস্টসেলিং লেখক হিসেবে পরিচিত।’

এলিফ শাফাক ২০২০ সাল থেকে রয়্যাল সোসাইটি অব লিটাচারের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২১, যার মধ্যে ১৩টি উপন্যাস। তাঁর লেখা ৫৮টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
গ্রন্থনা: রবিউল কমল

সম্পর্কিত নিবন্ধ