ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে যাওয়া বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে সিরাজদীখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার বাস চালকের নাম মো. শহীদুল শেখ (৩০)। তিনি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামের ফজলু শেখের ছেলে।  

আজ বুধবার সকালে র‍্যাব-১০ এর মিডিয়া সেলের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ১৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ৬০ যাত্রী নিয়ে বরিশাল এক্সপ্রেসওয়ের একটি বাস বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর এলাকার এক্সপ্রেসওয়েতে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে বরিশাল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ উড়ে যায়। এতে অন্তত ৫ যাত্রী আহত হন। ছাদ উড়ে গেলেও বাস না থামিয়ে অন্তত ৫ কিলোমিটার পথ যান চালক। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যান চালক। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় পরদিন শ্রীনগর উপজেলার হাইওয়ে থানায় অজ্ঞাতপরিচয় বাসমালিক, চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল ভারতে আসবে না। ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা আপাতত স্থগিত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রফিটের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, আগস্টের ২৫ থেকে ২৯ তারিখে নির্ধারিত মার্কিন প্রতিনিধি দলের ভারত সফর বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই। আগামী ২৭ আগস্ট থেকেই ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ কর ধার্য করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।

এর আগে ভারতের ওপরে ২৫ শতাংশ কর চাপিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে রাশিয়া থেকে তেল কেনার ‘শাস্তি’ হিসাবে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ কর চাপানোর কথা জানায় ওয়াশিংটন।   

আরো পড়ুন:

যুদ্ধের অবসান জটিল করছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

গাজাবাসীদের ভিসা স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

২৭ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হলে কিছু ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যত শুল্ক আরোপ করেছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম সর্বোচ্চ হার।

নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পাঁচ ধাপের আলোচনার পরও বাণিজ্য চুক্তি নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। এর প্রধান কারণ ছিল ভারতের বিস্তীর্ণ কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করার প্রস্তাব এবং রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার বিষয়ে দুই দেশের মতভেদ।  

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বলেছেন, “ভারত কখনো কৃষক, মৎস্যজীবী বা খামারিদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমরা জানি, এর জন্য বড় মূল্য দিতে হতে পারে, তবুও আমরা তৈরি।”

যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে আরো বেশি প্রবেশাধিকারের দাবি জানিয়েছে। বিশেষত, ভুট্টা, সয়াবিন ও তুলো রপ্তানির পথ খুলে দিতে চায় তারা। তবে ভারত সরকার এখনই কৃষি ও দুগ্ধখাত পুরোপুরি উন্মুক্ত করতে রাজি নয়। কারণ এর ফলে দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, এমন আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার ব্যাপারে ভারতের যুক্তি, দেশের ভোক্তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি খরচ নিশ্চিত করার জন্যই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছে। 

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ষষ্ঠ দফার আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের ভারত সফর পুনর্নির্ধারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে।  

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ