আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম নিয়ে মাঠে থাকবে : মাসুম বিল্লাহ
Published: 7th, May 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ইসলামী আন্দোলনের মুহতারাম আমির পীর সাহেব চরমোনাই আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স পাঠানোর জন্য ইসলামী সমমনা দলের সাথে সংলাপ ও পরামর্শ অব্যাহত রেখেছে।
আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম নিয়ে মাঠে থাকবে। কারণ দেশের জনগণ অনেক দল দেখেছে। তাদের শাসন দেখেছে । ইতিহাস খোঁজ নিলে দেখা যায় বিগত দিনে যারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্যই ব্যস্ত ছিল।
দেশের জনগণের কথা ও রাষ্ট্র উন্নয়নের ব্যাপারে তাদের ভূমিকা ছিল খুবই নগণ্য। তাই এবার আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ সৎ ও খোদাভীরু রাষ্ট্রনায়ক দেখতে চায়। দেশ ও দশের কল্যাণই থাকবে যাদের কাছে মুখ্য।
আজ বুধবার বাদ মাগরিব নগর কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা সভাপতি মাওলানা ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান, সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সমন্বয়কারী মোঃ সুলতান মাহমুদ, যোগাযোগ সমন্বয়কারী মাওলানা শামসুল আলম, আইন সমন্বয়কারী ডাক্তার সাইফুল ইসলাম, প্রচার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ বিলাল খান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উত্তর সমন্বয়কারী মোঃ ইসমাইল ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা দ্বীন ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ আর ভুল করবে না। কোন স্বৈরাচার, দখলদার, লুটপাটকারী ও পাচারকারীর হাতে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করবেনা। এবার তারা খোদাভীরু, যোগ্য ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা তুলে দিবে।
তাই আসুন, আমরা আগামী নির্বাচনে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, আধুনিক কল্যাণ রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ দ শ র জনগণ সমন বয়ক র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
একটি দল গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছে: আখতার
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন,“ইদানিং একটি দলের নেতারা চূড়ান্তভাবে গণভোটের রায়কে প্রত্যাখ্যান করার মতামত ব্যক্ত করছেন। তারা গণভোটে না দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করেছেন।কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা সেই ক্যাম্পেইন থেকে সরে আসতে তারা বাধ্য হয়েছে।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে এনসিপির কৃষিবিদ উইং এর আয়োজনে ‘তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা: জাতীয় অর্থনীতির নতুন শক্তি' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অনেক বিষয়ে ‘অস্পষ্টতা’ খেয়াল করেছি
এনসিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় বাড়ল
তিনি বলেন, “আমরা যখন কৃষি কৃষক নিয়ে কথা বলছি তখন বাংলাদেশের রাজনীতির বড় দুটি দলের অবস্থান খুবই ভয়ঙ্করভাবে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে। দুইটা বড় দল কৃষকের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য জনগণকে মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। একটি দল কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম চাওয়ার কথা বলে জনগণের প্রত্যাশিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার যে সংস্কার সেটাকে গৌণ করে ফেলছে। আবার আরেকটি দল আলু না গণভোট স্লোগানের মধ্য দিয়ে আলুর যে ন্যায্য দাম অর্থাৎ কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম যে কৃষকেরা পাচ্ছেন না সেটাকে তারা গৌণ করে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য গণভোট দুটাই একই সঙ্গে সমান্তরালে গুরুত্বপূর্ণ।”
আখতার হোসেন বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে জুলাই সনদের বিষয় নিয়ে অনেকগুলো দল নিজেদের জায়গা থেকে মন্তব্য করছেন সেটাকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখি না। আমরা ঐক্যমত্য কমিশনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ গণভোট এবং পরবর্তী সংসদকে ক্ষমতা প্রদানের মধ্য দিয়ে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছি।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণভোটের রায় বাধ্যতামূলক হবে কি না? গণভোটের রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানের সংশোধনী আনা যাবে কি না? সে প্রশ্ন যারা করছেন তারা কিন্তু শিক্ষিত মানুষ। তারা এটাও জানেন যে পৃথিবীর অনেক দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর গণভোটের মধ্য দিয়ে সেই সংবিধানকেই পাস হতে হয়। যদি সেই গণভোটের সংবিধান পাস না হয় তাহলে সেটা সংবিধান হিসেবেই গৃহীত হয় না।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার যে আদেশ জারি করা হয়েছে সেখানে অনেকগুলো জায়গাতে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলোকে রাজনৈতিক দলের আওতাধীন করে ফেলা হয়েছে এবং তাদের মতিগতির ওপর অস্পষ্ট অবস্থায় রেখে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে জুলাই সনদের বস্তু দিয়ে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা সে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।”
এনসিপির সদস্য সচিব বলেন,“আমরা সরকারের কাছে আহ্বান রাখব অতিদ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের অস্পষ্টতাগুলো দূরীকরণ করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের রায়কে মেনে নিয়ে বাংলাদেশে যেন একটি শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে রাস্তায় তৈরি করবেন।”
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপি র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ ও কৃষিবিদ উইং এর নেতারা।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ