পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা
Published: 17th, November 2025 GMT
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা টোল প্লাজা ও ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপর রয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই পদ্মা সেতু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
আরো পড়ুন:
চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে তল্লাশি, ঢাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক
মুরগির ঘরে মিলল নানি ও নাতি-নাতনির মরদেহ
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এলাকা পরিদর্শন শেষে জানান, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর—এই তিনটি জেলা তিনি সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল ও নিয়মিত পরিদর্শন সর্বক্ষণ চলমান রয়েছে।
এদিকে, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই শরীয়তপুর জেলায় টহল পরিচালনা করেছে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম পদ্মা সেতু জাজিরা প্রান্ত পরিদর্শন করেন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরিশাল সফর শেষে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ফিরেছেন। বাংলাদেশ পুলিশ শুধু পদ্মা সেতুকেই নয়, দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে সমান প্রাধান্য দিচ্ছে এবং জনগণের নিরাপত্তায় টহল টিম দিনরাত কাজ করছে।
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের মানুষ আর চলতে চায় না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাই মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এজন্য দেশপ্রেমিক ইসলামিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতে ইসলামের পক্ষে ভোটের বাক্স হবে একটি। আমরা ইসলামী দলগুলো আর কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না।’’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘‘একটি দল আছে, যারা পূর্বে ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজিসহ নানা অপরাধ করেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীও করছে। আবারো ক্ষমতায় যেতে ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছে পুরনো বন্দোবস্তর জন্য নয়। নতুন সিস্টেম ও নতুন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ক্ষমতা দেখেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশের মানুষ পুরনো সিস্টেম আর দেখতে চায় না। পুরনো বউকে নতুন কাপড়ে সাজিয়ে এনে জনগণের সামনে উপস্থাপন করলে জনগণ আর মেনে নেবে না। তাই নির্বাচনের পূর্বে গণভোট দিতে হবে। পিআর কার্যকর করতে হবে। জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নির্বাচনের পূর্বেই দিতে হবে। বিদেশি অথবা দেশের কোনো অপশক্তির ইশারায় যদি এগুলো কার্যকর করা না হয়। তাহলে, ইসলামী আন্দোলন দেশের মানুষকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’’
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/রাজীব