ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত শতাধিক: দাবি রাজনাথ সিংয়ের
Published: 8th, May 2025 GMT
পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সামরিক অভিযানে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দিল্লিতে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনাথ সিং এই দাবি করেন।
রাজনাথ সিং আরো জানান, ভারতের এই অপারেশন চলমান। অর্থাৎ যে কোনো হামলার জবাব দিতে দেশটি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ভারত সরকার আর হামলা চালাতে চায় না। তবে শত্রুর চালানো যে কোনো হামলার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
১৫ শহরে পাকিস্তানের হামলা প্রতিহতের দাবি ভারতের
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। এই হামলায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতভর পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় আরো কয়েক ডজন ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত।
এদিকে, ভারতের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে ভারত ভুল করেছে, তাদের এর মূল্য দিতে হবে।”
বুধবার (৭ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এমন হুঁশিয়ারি দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
জাতির উদ্দেশে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘ভারত হয়তো ভেবেছিল পাকিস্তান পিছু হটবে, কিন্তু তারা ভুলে গেছে, এটি এমন.
ভারতে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
নরসিংদীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, দেখা দিচ্ছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার মশা নিধনে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম তিনদিনে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকেই ভর্তি করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাঁশবাগানে পাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে
রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমার ভাই পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি তার ডেঙ্গু হয়েছে। এখন প্লাটিলেট কমে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবস্থা গুরুতর। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য করছেন, শয্যার সংকট আর ওষুধের জোগান সবসময় মেলে না।”
আরেক রোগীর বাবা মো. সাহেব আলী বলেন, “আমার ছোট ছেলের বয়স ১০ বছর। জ্বর নিয়ে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। ওর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, ছেলেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সমর্থ্য নেই।”
হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ এক রোগীর চাচা মাহবুব হোসেন বলেন, “হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ডেঙ্গু যে এত ভয়াবহ হবে বুঝতে পারিনি। প্রশাসন যদি আগে ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।”
স্থানীয় কলেজছাত্র জুবায়ের হোসেন বলেন, “জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, অথচ পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি অনেকদিন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। শুধু ওষুধ আর হাসপাতাল দিয়ে এই রোগ ঠেকানো যাবে না। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন কারণে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছেন জ্বর নিয়ে। অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। সীমিত সামর্থ্যে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সেবা দিতে। রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।”
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ