তিনটি শব্দগুচ্ছ দ্বারা লেখাটা শুরু করা যাক। ক্ষুদ্র উদ্যোগ বনাম বিশাল ভবিষ্যৎ; ক্ষুদ্রঋণ বনাম ক্ষুদ্র উদ্যোগ; প্রথাগত উন্নয়ন বনাম অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। ক্ষুদ্র উদ্যোগ শুনলেই অনেকেই ভ্রু কুঁচকান। ভাবেন, এসব ছোট উদ্যোগ দিয়ে কী হবে? উদ্যোগ হতে হবে বৃহৎ– দশাসই প্রকল্প। তবেই না উন্নয়ন! কিন্তু কথা হচ্ছে, ক্ষুদ্র উদ্যোগের দুটি মাত্রিকতা থাকে, যা বৃহৎ উদ্যোগের থাকে না। তার একটি হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বপ্ন, অন্যটি ব্যক্তিগত শ্রম। দীর্ঘদিনের সযত্ন-লালিত একটি স্বপ্নই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার মূল চালিকাশক্তি। একটি স্বপ্ন নিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তাঁর উদ্যোগ শুরু করেন। সেই উদ্যোগই উদ্যোক্তাকে আরও বড় স্বপ্ন দেখতে শেখায়। সেই স্বপ্নের দিকে উদ্বুদ্ধ করে। স্বপ্ন আর উদ্যোগ তখন পরস্পরকে পুষ্ট করে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য থাকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার রক্ত জল করা, ঘাম ঝরানো ব্যক্তিগত শ্রম। স্বপ্ন দেখে সে বিশাল এক ভবিষ্যতের। সেই  ভবিষ্যতের দিকে সে দিনভর খেটে যায়। ব্যক্তিগত সেই স্বপ্ন, ব্যক্তিগত সেই শ্রম দিয়েই একটু একটু করে একদিন তৈরি হয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার বিশাল পৃথিবী। সে পথযাত্রায় অন্তরায় আছে, ব্যর্থতা আছে, হতাশা আছে। কিন্তু সব পেরিয়ে সেখানে একটি বিশাল ভবিষ্যতের স্বপ্ন থাকে।

পরের বিষয়টি হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ বনাম ক্ষুদ্র উদ্যোগের। অনেকেই মনে করেন, ক্ষুদ্র উদ্যোগের ঝামেলা অনেক। বহু কিছু সংগঠিত করতে হয়– ভূমি, কারখানা, কাঁচামাল ইত্যাদি। ঝুঁকিও সেখানে বহুবিধ– ব্যর্থতার আশঙ্কাও অনেক। সেদিক থেকে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ– খেলাপি হওয়া ভিন্ন সেখানে ঝুঁকি তেমন কিছু নেই। তারপরও ক্ষুদ্র উদ্যোগ পছন্দনীয়। কারণ ক্ষুদ্র উদ্যোগ একটি সার্বিক ব্যবস্থা, যেখানে উৎপাদনের সব উপকরণ থাকে। ক্ষুদ্রঋণ সেই উপকরণ মোর্চার একটি অংশ মাত্র। সুতরাং অন্য কথায়, ক্ষুদ্রঋণ ক্ষুদ্র উদ্যোগের একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ, কিন্তু পর্যাপ্ত অংশ নয়। 
ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে ক্ষুদ্র উদ্যোগের তিনটি মৌলিক পার্থক্য আছে। এক.

ক্ষুদ্র উদ্যোগে উদ্যোক্তার সৃষ্টিশীলতা এবং সৃজনশীলতার একটি ক্ষেত্র থাকে; ক্ষুদ্রঋণে তা নেই। দুই. ক্ষুদ্র উদ্যোগে একজন উদ্যোক্তা থাকেন; ক্ষুদ্র ঋণে তা অনুপস্থিত। তিন. ঋণ বিষয়টি যান্ত্রিক; উদ্যোগ ব্যাপারটি মানবকেন্দ্রিক।

প্রথাগত বনাম অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন আলোচনার আগে উন্নয়ন বিষয়কে একটু খোলাসা করা দরকার। আমি ‘অগ্রগতি’ এবং ‘উন্নয়নের’ মধ্যে একটি বিভাজন করি। ‘অগ্রগতি’ হচ্ছে কোনো ইতিবাচক বিষয়ের পরিমাণগত বৃদ্ধি (যেমন জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি) কিংবা কোনো নেতিবাচক বিষয়ের পরিমাণগত হ্রাস (যেমন শিশুমৃত্যুহারের হ্রাস)। অন্যদিকে ‘উন্নয়ন’ মানে কোনো বিষয়ের পরিমাণগত বৃদ্ধিই নয়; তার গুণগত পরিবর্তনও। যেমন– জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি হচ্ছে অগ্রগতি। আর যদি সে বৃদ্ধি সুষমভাবে বণ্টিত হয়, সেটা হচ্ছে উন্নয়ন। ঠিক তেমনিভাবে শিশুমৃত্যুহার হ্রাস হচ্ছে অগ্রগতি। সেটার সঙ্গে যদি শিশুর পুষ্টি বাড়ে, তা হচ্ছে উন্নয়ন। সোজা কথায়, অগ্রগতির সঙ্গে যদি গুণগত পরিবর্তন ঘটে, তবে সেটা উন্নয়ন। অতএব, অগ্রগতি উন্নয়নের একটি অংশ– আবশ্যিক শর্ত, কিন্তু পর্যাপ্ত শর্ত নয়। 

প্রথাগত উন্নয়ন আসলে অগ্রগতির নামান্তর, সেখানে পরিমাণগত বৃদ্ধিই মুখ্য বিষয়। কিন্তু অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন গুণগত পরিবর্তনকে বিবেচনা করে। তাই এটি উন্নয়ন। উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হলে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এক. সেই উন্নয়নে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জনগণ অংশগ্রহণ করবে। তবে সেই অংশগ্রহণ শুধু উৎপাদনের একটি উপকরণ (শ্রম) হিসেবে নয়। সেই অংশগ্রহণ হবে উৎপাদন সিদ্ধান্তে, উন্নয়ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে। সুতরাং সেসব সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হবে না; স্থানীয়ভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই জনগণ উন্নয়ন বিষয়ে (কর্মসূচি ও প্রকল্প) সিদ্ধান্ত নেবে– কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে। প্রয়োজনে এ অংশগ্রহণ পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। সুতরাং জনগণ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করবে না।
দুই. জনগণ শুধু উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে না। তারা এর সুফলও ভোগ করবে। এবং সেই সুফল সুষমভাবে বণ্টিত হতে হবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে। সেখানে সাম্যের নীতি পালিত এবং অনুসৃত হবে। তিন. উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হলে উন্নয়ন-সুযোগ এবং উন্নয়ন-ফলাফলে বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে। সে জন্য প্রবৃদ্ধি প্রক্রিয়ায় সমাজের নিম্নতম ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রবৃদ্ধি অন্য সব গোষ্ঠীর আয়-প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে দ্রুত হারে বাড়তে হবে। উপর্যুক্ত শর্তগুলো উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় পালিত হলে তা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। 

প্রশ্ন হচ্ছে, ক্ষুদ্র উদ্যোগ কি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহায়ক? অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শর্তগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যাবে ক্ষুদ্র উদ্যোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। প্রথমত, ক্ষুদ্র উদ্যোগে উদ্যোক্তা তাঁর শ্রম, উপকরণ ও সৃজনশীলতা নিয়ে সরাসরি উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উদ্যোক্তা তাঁর শ্রম দেন। উৎপাদন ও উন্নয়ন সিদ্ধান্তও তাঁরই। পুরো প্রক্রিয়ার নিরীক্ষণ ও মূল্যায়নও উদ্যোক্তা করে থাকেন। দ্বিতীয়ত, ক্ষুদ্র উদ্যোগ দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকদের কর্মে নিয়োজন দান করে থাকে। সুতরাং তাদের কর্মে নিয়োজনের মাধ্যমে আয় এবং আয়-প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়। সেই সঙ্গে যেহেতু উদ্যোগটি ক্ষুদ্র, তাই এই আয়ের বণ্টনও সরাসরি ক্ষুদ্র উদ্যোগের মধ্যে হয়ে থাকে। তৃতীয়ত, প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মনিয়োজনের পরিবর্তে কর্মনিয়োজনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির যে প্রক্রিয়া ক্ষুদ্র উদ্যোগ অনুসরণ করে, তা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। সবটা মিলিয়ে বলা চলে, ক্ষুদ্র উদ্যোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।

সেলিম জাহান: ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন
কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ষ দ রঋণ প রব দ ধ ন য় জন গ রহণ র একট

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো নয়: ফরহাদ মজহার

গণ-অভ্যুত্থানের পর পতিত সরকারের সংবিধান ও আমলাতন্ত্র রেখে দেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। বর্তমান সরকারের বৈধতা নিশ্চিত না করে রাষ্ট্র পরিচালনা এবং নির্বাচন আয়োজনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো নয়।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ফরহাদ মজহার এ কথা বলেন।

ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলার কোনো অর্থ নেই বলে মনে করেন এই চিন্তক। উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি তো গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছেন, আপনি গণ-অভ্যুত্থানের কেউ নন। আমি আবারও বলছি এখানে ভুল বোঝার কোনো অপশন নেই। তিনি গণ-অভ্যুত্থানের কেউ নন। এখানে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা অনেকে সরাসরি গণ-অভ্যুত্থানে রাস্তায় ছিলেন, বুক পেতে দিয়েছেন। আমরা বছরের পর নির্যাতিত হয়েছি। আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি।’

এরপরও অধ্যাপক ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে গ্রহণ করা হয়েছে এবং কোনো বিরোধিতা করছেন না উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কিন্তু তিনি (ইউনূস) গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায় বোঝেননি। এখন তিনি যে জায়গায় গিয়েছেন, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাঁর প্রথম ভুল তিনি এসেই তরুণ শিক্ষার্থীদের মাস্টারমাইন্ড বলে পরিচয় করিয়েছেন। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের সত্তা হচ্ছে জনগণ, কোনো ব্যক্তি নয়। সবাই মিলে এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে।’

সফল নির্বাচন আয়োজন নিয়ে শঙ্কা

এই চিন্তক বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের পর প্রথম কাজ হওয়া দরকার ছিল ফ্যাসিস্ট সরকার এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে উৎখাত করা। তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থানে অনেকে শহীদ হয়েছেন এবং অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তাঁর প্রশ্ন, ‘এত বড় আত্মত্যাগের পরে আপনি কিসের ভিত্তিতে নির্বাচনের কথা শুরু করলেন?’

নির্বাচন সফলভাবে আয়োজন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সফল নির্বাচনের কোনো লক্ষণ দেখছি না। আপনি কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন দিচ্ছেন? দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ফেলে দেবেন না। আপনার যে জনপ্রিয়তার হ্রাস হয়েছে, এটা আমাদের জন্য বিপজ্জনক। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’

এই চিন্তক বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল বলে কিছু নেই। রাজনৈতিক দল মানে যারা জনগণের সেবা করে, জাতিকে যারা পথ দেখায়, নতুন কথা বলে। এখানে যেটা আছে, সেটা লুটেরা শ্রেণি, দুর্নীতিবাজ। তাদের সঙ্গে আপনি কথা বলেছেন, জনগণের সঙ্গে কথা বলতে বলেননি।’

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল বলে কিছু নেই। রাজনৈতিক দল মানে যারা জনগণের সেবা করে, জাতিকে যারা পথ দেখায়, নতুন কথা বলে। এখানে যেটা আছে, সেটা লুটেরা শ্রেণি, দুর্নীতিবাজফরহাদ মজহার, কবি ও চিন্তক

শেখ হাসিনার সংবিধান রেখে সে সংবিধানের অধীনে শপথ নেওয়ার সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি একটা অবৈধ সরকার। তবে অবৈধ সরকার বলার মানে এই না যে আপনাকে আমরা চাই না। এর মানে হচ্ছে, আপনার প্রথম কাজ নিজের বৈধতা নিশ্চিত করা।’

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করেছি আপনার যেন মতি হয়। আপনি যেন রাজনীতি কাকে বলে, এটা বোঝেন; আইন কাকে বলে, বোঝেন। কারণ, রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার বলেন, জনগণ কী চায়, নতুন গঠনতন্ত্র চায় কি না। কিন্তু জনগণকে বঞ্চিত করে মাফিয়া শ্রেণির সঙ্গে কথা বলছেন। বিদেশ থেকে লোক এনে বসানো হয়েছে, যাঁরা বিদেশে কাজ করেছেন করপোরেট স্বার্থ রক্ষার জন্য।

তরুণেরা মন্ত্রণালয় চালাতে পারেনি

এই চিন্তক বলেন, কিছু তরুণ ছাত্রদের মন্ত্রণালয়ে নিয়েছেন, এ জন্য অভিনন্দন। কিন্তু মন্ত্রণালয় তারা চালাতে পারেনি। তরুণেরা দেশ চালাবে, এটাই তো স্বপ্ন। কিন্তু তরুণদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করা হয়েছে। কারণ, শেখ হাসিনার আমলাতন্ত্র রয়ে গেছে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে দলের নাম পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার জানান, জামায়াতের অনেক ইতিবাচক ভূমিকা আছে। কিন্তু এই এক কালো দাগের জন্য আগামী দিনে যে সম্ভাবনা, নতুনভাবে ইসলামের যে পুনর্জাগরণ, তার সর্বনাশ হয়ে যাবে।

সভায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ডাকসুর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) মতো নির্বাচনে উপদেষ্টাদের যুক্ত হতে হয়। যখন ৩০০ আসনে নির্বাচনে হবে, তখন কী হবে?

কল রেকর্ড ফাঁসের ভয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফোনে কথা না বলে সরাসরি দেখা করে কথা বলেন—এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কী এমন কথা বলেন। এখানে সন্দেহ করার মতো বিষয় আছে।

সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সাদেক রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ও কূটনীতিক আবদুল্লাহ আল মামুন, আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাক, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘দেখেছ, আগেই তো ভালো ছিলাম’—এই খেলাই তো চলছে
  • সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই: রাশেদ খান
  • প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের পরিস্থিতি অস্থির করে তুলছে: ফারুক
  • সাতটি জেলার উপকরণে তৈরি হয়েছে গুলশান-বনানীর পূজামণ্ডপ
  • ১৭ বছর এক অসুর জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল: নিপুন রায় 
  • নির্বাচিত সরকার না থাকায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি: আমীর খসরু
  • অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • ড. ইউনূসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • চাঁদপুরে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় এনসিপির নিন্দা
  • রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো নয়: ফরহাদ মজহার