যৌন হয়রানির মামলার বাদী, কে এই আলোচিত অভিনেত্রী
Published: 10th, May 2025 GMT
‘জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছি। সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো কারও সঙ্গে বেশি কথাও বলতে পারছি না। অনেকেই হয়তো ভাববে বানানো গল্প।’ গত সপ্তাহে সেঠ মেয়ার্সের শোতে হাজির হয়ে নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এভাবেই বলেন ব্লেইক লাইভলি। অভিনেত্রীর নতুন সিনেমা ‘অ্যানাদার সিম্পল ফেভার’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। আলোচনাটা তাই সিনেমা নিয়েই হওয়া সমীচীন ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে অভিনেতা জাস্টিন বালডোনির বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা এবং তার পরের নানা ঘটনা ৩৭ বছর বয়সী অভিনেত্রীর সময়টা বদলে দিয়েছে।
গত বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ছিল অল্প বাজেটে নির্মিত ‘ইট এন্ডস উইথ আস’। ছবিটি নির্মাণ করেন জাস্টিন বালডোনি, পর্দায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ও করেন। অন্যদিকে ছবির প্রধান চরিত্রে দেখা যায় ব্লেইক লাইভলিকে, এটির অন্যতম প্রযোজকও ছিলেন তিনি। তবে গত বছরের শেষে ছবিটির দুই তারকা আলোচনায় আসেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। প্রথমে বালডোনির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ব্লেইক।
ব্লেইল লাইভলি। ছবি: রয়টার্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল