যৌন হয়রানির মামলার বাদী, কে এই আলোচিত অভিনেত্রী
Published: 10th, May 2025 GMT
‘জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছি। সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো কারও সঙ্গে বেশি কথাও বলতে পারছি না। অনেকেই হয়তো ভাববে বানানো গল্প।’ গত সপ্তাহে সেঠ মেয়ার্সের শোতে হাজির হয়ে নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এভাবেই বলেন ব্লেইক লাইভলি। অভিনেত্রীর নতুন সিনেমা ‘অ্যানাদার সিম্পল ফেভার’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। আলোচনাটা তাই সিনেমা নিয়েই হওয়া সমীচীন ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে অভিনেতা জাস্টিন বালডোনির বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা এবং তার পরের নানা ঘটনা ৩৭ বছর বয়সী অভিনেত্রীর সময়টা বদলে দিয়েছে।
গত বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ছিল অল্প বাজেটে নির্মিত ‘ইট এন্ডস উইথ আস’। ছবিটি নির্মাণ করেন জাস্টিন বালডোনি, পর্দায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ও করেন। অন্যদিকে ছবির প্রধান চরিত্রে দেখা যায় ব্লেইক লাইভলিকে, এটির অন্যতম প্রযোজকও ছিলেন তিনি। তবে গত বছরের শেষে ছবিটির দুই তারকা আলোচনায় আসেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। প্রথমে বালডোনির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ব্লেইক।
ব্লেইল লাইভলি। ছবি: রয়টার্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তারকাদের নিয়ে গুজব ছড়ানোর কারণ জানিয়েছেন সোনালি
তারকাদের নিয়ে নানা সময় বিভিন্ন ধরনের গুজব শোনা যায়। বিশেষ করে, প্রেমের গুজব বেশি রটে। সেখানে বলিউড তারকাদের নামই বেশি শোনা যায়। বছরজুড়ে কানে আসতে থাকে তাদের প্রেমের গুঞ্জন। এমন দাবি নব্বই দশকের আলোচিত বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তারকাদের নিয়ে গুজব ছড়ানোর কারণ জানিয়েছেন সোনালি। অভিযোগের তীর ছুড়েছেন সংবাদ মাধ্যমের দিকে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে অতিরঞ্জিত শিরোনাম নিয়ে অনেকেই অভিযোগ জানান। একই কথা শোনা গেছে সোনালির মুখেও।
তিনি বলেন, “সে সময় ‘ক্লিকবেট’ বলে কিছু হতো না। কিন্তু তখন সাংবাদিকদের চটকদার শিরোনাম করার এতটাই পাগলামো থাকত, তাই সব ভুলভাল খবর লেখা হতো।”
সোনালি আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন অভিনয় জগতে পা রাখেন, তখন বিভিন্ন ফিল্মি ম্যাগাজিনের বাড়বাড়ন্ত। অভিনেত্রীর কথায়, “নিজেদের ম্যাগাজিনের বিক্রি বাড়ানোর জন্য আমার নামে ভুল খবর ছাপা হতো। তাই আমার মনে হয়েছিল নিজের চামড়া মোটা করে নিতে হবে।”
তাই পরবর্তী সময়ে এই ধরনের কোনো রটনা শুনে বিচলিত হওয়া বন্ধ করে দেন সোনালি। তবে তাঁর মনে করা বিষয়টি সবাই সহজভাবে এড়িয়ে যেতে পেরেছেন, এমন নয়। এখনও অনেকে গুজব-গুঞ্জনের বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেন না। যে কারণে সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতি তাদের এক ধরনের বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখেন সোনালি। সে সময়েই রাজনৈতিক নেতা বাল ঠাকরের ভাতিজা রাজের সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু বাল ঠাকরে ছিলেন ভীষণ কড়া। তাঁর কানে এ খবর পৌঁছতেই ভ্রাতুষ্পুত্রকে রীতিমতো শাসিয়েছিলেন। জানিয়ে দেন, এতে রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে।
পারিবারিক সমস্যা তৈরি হবে। সব মিলিয়ে রাজ অসম্মানিত হবেন। কাকার প্রতাপের কাছে সে দিন হার মেনেছিলেন রাজ। দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন সোনালিকে। তার পরও সোনালি ভেঙে পড়েননি। অভিনয় ব্যস্ততার মাঝে ছিন্ন সম্পর্ককে ভুলে থাকার চেষ্টা করেছেন। যার সুবাদে তাঁর ক্যারিয়ারে জমা পড়েছে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা। যেখানে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন আমির, শাহরুখ, সালমান, অজয় দেবগনসহ বলিউডের খ্যাতিমান সব অভিনেতা।