ফুটবল ইতিহাসে যে প্রথমের জন্ম দিল প্রিমিয়ার লিগ, জানলে অবাক হবেন
Published: 10th, May 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম হটস্পার এখন ইউরোপা লিগের ফাইনালে। লিগ টেবিলে ১৫ ও ১৬ নম্বরে থাকা দল দুটির ফাইনালে ওঠার ঘটনা নিঃসন্দেহে দারুণ কিছু। ২১ মে স্পেনের বিলবাওয়ে ‘অল ইংলিশ ফাইনাল’ শেষে এই দুই দলের একটি যে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে যাচ্ছে, তা এখন নিশ্চিত।
পাশাপাশি এ দুটি দলের যে জিতবে, তারা নিশ্চিতভাবে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার টিকিট পাবে। এর আগে প্রিমিয়ার লিগ থেকে সর্বোচ্চ ৫টি ক্লাবের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল। এখন দুই ইংলিশ ক্লাব ইউরোপার ফাইনালে যাওয়ায় সংখ্যাটি ৬ হতে যাচ্ছে।
এর ফলে নতুন একটি ইতিহাসও গড়তে যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ। নিজেদের ইতিহাসে তো বটেই, ইউরোপে যেকোনো দেশের ইতিহাসে এই প্রথম একসঙ্গে পাঁচ ক্লাবের বেশি চ্যাম্পিয়নস লিগের এক আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে যাচ্ছে।
কীভাবে সম্ভব হলোগতকাল রাতে ম্যাচের আগপর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫টি স্লট ছিল। একমাত্র লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল ছাড়া অন্য কোনো দল এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ এই আসরে খেলার টিকিট পায়নি।
আরও পড়ুনপ্রিমিয়ার লিগের দুই ‘বাজে’ দল ইউনাইটেড-টটেনহাম ইউরোপার ফাইনালে০৯ মে ২০২৫বাকি চারটি স্থানের জন্য অন্তত ৬টি দল লড়াই করছে। তবে পয়েন্ট তালিকার পরের দিকে থাকায় সেই দলগুলোর মধ্যে নেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম। এখন তারা আলাদাভাবেই এ লড়াইয়ে নামবে। ইউরোপা লিগের ট্রফি জয়ের পাশাপাশি নিশ্চিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতাও।
প্রশ্ন হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ থেকে ৫টি দলই বা কীভাবে নির্বাচিত হলো? মূলত উয়েফা কো–এফিশিয়েন্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুইয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের ৫টি দলের পরের আসরে চ্যাম্পিয়নস খেলা নিশ্চিত হয়েছে। চলতি মৌসুমে এই সুযোগটা পেয়েছিল ইতালি ও জার্মানি। ইতালির বোলোনিয়া ও জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ড সিরিআ ও বুন্দেসলিগায় পঞ্চম হয়ে সুযোগ পেয়েছিল এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে।
ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবল লিগে ২০তম বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ র ফ ইন ল ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল