কেউ পায়ে হেঁটে আর কেউ যানবাহনে। দলে দলে যাচ্ছেন সবাই। সবার গন্তব্য চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠ। গরমে সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। এরপরও প্রখর রোদ উপেক্ষা করে বসে পড়ছেন মাঠে। ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র সমাবেশকে ঘিরে এই চিত্র চট্টগ্রাম নগরের।

তারুণ্যের ভাবনা ও অধিকার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া বিএনপির কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার। বেলা দেড়টার দিকে নগরের ওয়াসা, সিআরবি, টাইগারপাস, কদমতলীসহ আশপাশের এলাকায় দেখা যায় পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশে যোগ দিতে আসা ব্যক্তিদের নিয়ে বাস, মাইক্রোবাসসহ নানা ধরনের যানবাহনের ভিড়। গাড়ি রেখে সমাবেশস্থলে হেঁটে যাচ্ছেন বেশির ভাগ লোকজন।

বেলা তিনটায় ডাকা এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

চট্টগ্রামের পর ১৬ মে খুলনায়, ২৩ মে বগুড়ায় এবং ২৭ মে ঢাকার মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে শরিক রাজনৈতিক দলগুলো ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে তরুণ সমাজকে নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী এই কর্মসূচি। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে চারটি বৃহত্তর বিভাগে ভাগ করে অংশগ্রহণ করবে এ কর্মসূচিতে।

এই কর্মসূচির ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক প্রথম সেমিনারটি গতকাল নগরের চট্টেশ্বরী সড়কে একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনার ও সমাবেশ সফল করতে চট্টগ্রাম অবস্থান করছেন যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ইতিমধ্যে তাঁরা সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের লোকজন, বিশেষ করে তরুণেরা সমাবেশে যোগ দিতে আসতে শুরু করেছেন। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগের ১৩ সাংগঠনিক জেলার লোকজন অংশ নিচ্ছেন সমাবেশে। দূরদূরান্ত অনেকে গতকাল রাতে এসে গেছেন।

সমাবেশে আসা নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সুযোগ যাতে কেউ না পায় সে লক্ষ্যে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ভলান্টিয়াররা কাজ করছেন। লোকজন শৃঙ্খলভাবে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে লক্ষ্মীপুর থেকে অনেকে তরুণ এসেছেন। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে তাঁরা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। একই মন্তব্য করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুবুল আলমও।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র য বদল র প রথম ল কজন নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

সিঙ্গাপুরগামী বিমানের পাখায় পাখির আঘাত, ফিরল শাহজালাল বিমানবন্দরে

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ শুক্রবার সকালে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিঙ্গাপুরগামী একটি উড়োজাহাজের পাখায় পাখির আঘাত লাগে। এই ঘটনার পর উড়োজাহাজটি গন্তব্যে না গিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে, নিরাপদে অবতরণ করে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের স্টেশন ম্যানেজার অপূর্ব দেওয়ান প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটটি (বিজি ৫৮৪) আজ সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। ফ্লাইটটিতে ১৫৪ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন। উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজের পাখায় পাখির আঘাত লাগে। প্রায় ২ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকাকালে ক্যাপ্টেন উড়োজাহাজটির পাখায় পাখির আঘাত লাগার কথা জানিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে উড়োজাহাজটি নিরাপদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের পর বিমানবন্দরের বে-১৪ নম্বরে উড়োজাহাজটি পার্ক করা হয়।

অপূর্ব দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজের পাখায় পাখির আঘাত লাগে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। সব যাত্রী ও ক্রু নিরাপদ, সুস্থ আছেন।

ফ্লাইটটির (বিজি ৫৮৪) যাত্রীদের আরেকটি উড়োজাহাজে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান অপূর্ব দেওয়ান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ