আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পাকুন্দিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
Published: 10th, May 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সর্বদলীয় ছাত্র-জনতার ব্যানারে উপজেলা সদরের ঈদগাহের সামনে কিশোরগঞ্জ-ঢাকা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি জানান। এ ছাড়া বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের অত্যাচার, নির্যাতন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন। বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় লোকজন অংশ নেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল-সানী বলেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশের মাটিতে কোনোভাবেই রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে, বিচারের আওতায় আনতে হবে। আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’
জেলা ছাত্রশিবিরের ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক এইচ এম ফরহাদ ভূঁইয়া বলেন, ‘যে শেখ হাসিনা পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের রাজনীতি বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না। যারা তিনটি অবৈধ নির্বাচন করেছে, বিনা ভোটের মাধ্যমে দেশের লাখো কোটি মানুষের অধিকারহরণ করেছে, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ফেরাউনের চরিত্রে আবির্ভাব হয়ে শেখ হাসিনা এ দেশের দুই হাজারের অধিক ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। তাই তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দু–তিন দিনে পড়ার মতো মুক্তিযুদ্ধের অনবদ্য পাঁচ উপন্যাস
মুক্তিযুদ্ধের বঞ্চনা ও প্রতিরোধের মর্ম অনুধাবন ও সামষ্টিকভাবে জাতীয় চেতনাবোধ প্রজ্বালনে বৃহৎ পরিসরের উপন্যাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি। যুদ্ধের ঘটনাশ্রয়ী বড় উপন্যাসগুলো কেবল ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ দেয় না, বরং যুদ্ধের মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা, মানুষের ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং নৈতিক দ্বন্দ্বের সঙ্গে পাঠককে নিবিড়ভাবে পরিচিত করায়। আজ থাকছে যুদ্ধনির্ভর অজস্র লিখিত ভাষ্যের মধ্যে বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি উপন্যাস, যেগুলো পরবর্তী প্রজন্মকে আখ্যানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মূল্য সম্পর্কে সচেতন করতে সক্ষম এবং যুদ্ধের অভিঘাত, ত্যাগ ও প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত করে।
১. রাইফেল রোটি আওরাত‘রাইফেল রোটি আওরাত’ আনোয়ার পাশার (১৯২৮-১৯৭১) মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটে রচিত একটি কালজয়ী উপন্যাস। ১৮২ পৃষ্ঠার এ উপন্যাসের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে ২৮ মার্চের ভোর পর্যন্ত মাত্র তিন দিনের ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে। এতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসলীলার স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে উদগ্র বীভৎসতায়। কেন্দ্রীয় চরিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহীন, যিনি সপরিবার টিচার্স কোয়ার্টারের ২৩ নম্বর ভবনে থাকতেন। চারপাশে সহকর্মী ও ছাত্রদের লাশের স্তূপের মাঝেও সুদীপ্ত শাহীন ও তাঁর পরিবার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এই বেঁচে থাকার অপরাধবোধ, ভয়াবহ গণহত্যার চাক্ষুষ বিবরণ এবং নতুন ভোরের প্রতীক্ষাই উপন্যাসটির করুণ আবেদন।
আনোয়ার পাশা (১৯২৮—১৯৭১)