ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। স্বৈরাচারবিরোধী সর্বোস্তরের বিপ্লবী ছাত্র জনতার ঝিনাদহ জেলার শাখার ব্যানারে শনিবার (১০ মে) বিকেলে ৫টার দিকে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয় এবং সেখানে সমাবেশ করে তারা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ শাখার আহ্বায়ক আবু হুরাইরা, গণঅধিকার পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন, জেলা শিবিরের সভাপতি রাজু আহমেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘এই বাংলার বুকে আর কোনো দিন আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। ২০০৮ সালের পরে এই দেশ খুন-গুমের রাজনীতি করে এসেছে হাসিনা সরকার। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।’’ একইসঙ্গে বক্তারা আরো বলেন, ‘‘যতক্ষণ না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হচ্ছে, ততদিন রাজপথ ছাড়া হবে না।’’

আরো পড়ুন:

এক ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে যমুনা অভিমুখে মার্চ: হাসনাত

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে গণজমায়েত

এর আগে বিকেলে ৪টার দিকে জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ করে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলীসহ দলটি অন্যান্য নেতাকর্মীরা। 

ঢাকা/সোহাগ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো ১৭০ জনকে

লিবিয়া থেকে অনিয়মিত ১৭০ বাংলাদেশিকে আজ মঙ্গলবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাঁরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা তাঁদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানব পাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন বলে জানা যায়। তাঁদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁদের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সম্ভাব্য সবার সঙ্গে বিনিময় করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানায়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের প্রত্যেককে পথখরচা, কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপদে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ