ঝিনাইদহে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 10th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। স্বৈরাচারবিরোধী সর্বোস্তরের বিপ্লবী ছাত্র জনতার ঝিনাদহ জেলার শাখার ব্যানারে শনিবার (১০ মে) বিকেলে ৫টার দিকে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয় এবং সেখানে সমাবেশ করে তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ শাখার আহ্বায়ক আবু হুরাইরা, গণঅধিকার পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন, জেলা শিবিরের সভাপতি রাজু আহমেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘এই বাংলার বুকে আর কোনো দিন আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। ২০০৮ সালের পরে এই দেশ খুন-গুমের রাজনীতি করে এসেছে হাসিনা সরকার। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।’’ একইসঙ্গে বক্তারা আরো বলেন, ‘‘যতক্ষণ না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হচ্ছে, ততদিন রাজপথ ছাড়া হবে না।’’
আরো পড়ুন:
এক ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে যমুনা অভিমুখে মার্চ: হাসনাত
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে গণজমায়েত
এর আগে বিকেলে ৪টার দিকে জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলীসহ দলটি অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/সোহাগ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
জাপাসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চায় গণঅধিকার পরিষদ
জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এ বিষয়ে সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের কাছে চিঠি জমা দিয়েছে গণঅধিকারের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আবেদনে দলটি উল্লেখ করে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে। জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার কারণে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইভাবে তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল বাংলাদেশের নাগরিকের ওপর চালানো গণহত্যাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে গণহত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ যে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল, তার অন্যতম সহযোগী ও বৈধতাদানকারী হিসেবে সক্রিয় ছিল জাতীয় পার্টিসহ জোটবদ্ধ বাকি দলগুলো। তাই গণহত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে এই দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি করানোর আহ্বান করছে গণঅধিকার পরিষদ।
গণঅধিকার প্রত্যাশা করে, দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ তাদের দোসরদের নিবন্ধন বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জনক্ষোভ দূর করতে আপনার (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গণঅধিকারের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরপর তিনটি নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটসঙ্গী প্রতিটি দল গণহত্যা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত।
এসব দলের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের মুখপাত্র ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, মাহফুজুর রহমান খান, হাবিবুর রহমান রিজু, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন।