নিষিদ্ধ ঘোষণায় আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া
Published: 10th, May 2025 GMT
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে, ‘‘অবৈধ সরকারের সব সিদ্ধান্তই অবৈধ। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সকল অন্যায়ের জবাব দেবে।’’
আরো পড়ুন:
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ
তারেক রহমান
পলাতক অপশক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সজাগ থাকতে হবে
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত ব্রিফিং করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বৈঠকে ৩টি সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা জানান তিনি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে, যোগ করেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা ব্রিফিংয়ে জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
ঘোষণায় তিনি বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”
আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
ঢাকা/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ ন উপদ ষ ট আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের পথ খুলল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন পেয়েছে। সংশোধনীতে কোনো রাজনৈতিক দল, তার সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার জন্য দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার করার পথ খুলে গেল।
শনিবার (১০ মে) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি দলগতভাবে তাদের বিচার দাবি করে আসছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা। জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই দাবি নিয়ে ৮ মে রাতে রাজপথে নামে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি আরো কয়েকটি দল। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। অবশেষে তাদের আলটিমেটামের মুখে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হলো।
আরো পড়ুন:
আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ: জেলায় জেলায় আনন্দ, মিষ্টি বিতরণ
পাবনায় আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামি লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বিফ্রিংয়ে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
তিনি জানান, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে।
এর মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারীদের তিন দাবিই পূরণ করল অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/সুকান্ত/রাসেল