ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর আবারও মাঠে গড়াতে পারে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। গতকাল শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় নতুন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দ্রুত টুর্নামেন্ট ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

সীমান্তে উত্তেজনার কারণে গত শুক্রবার এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত করেছিল বিসিসিআই। সেই দিন ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি মাত্র ১০.

১ ওভারের পরেই বাতিল ঘোষণা করা হয়।

বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির পরিবর্তনে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ (রোববার) আলোচনায় বসছে। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পরিপ্রেক্ষিতে আইপিএল আবার কীভাবে শুরু করা যায় তা নিয়েই আজ আলোচনা হবে। সেরা সময়সূচি বের করে দ্রুত বাকি ম্যাচগুলো শেষ করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’

ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ইতোমধ্যে বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের ফিরিয়ে আনতে যোগাযোগ শুরু করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহান্তেই, অর্থাৎ ১৫ মে’র পর থেকে আইপিএল পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি সরকারের অনুমতির ওপর নির্ভর করবে।

তবে এখন মূল চ্যালেঞ্জ হলো বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচদের দ্রুত ভারতে ফেরানো। অনেকেই শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যে দেশ ছেড়ে গেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভ্রমণ পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে বলেছে এবং প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে। গুজরাট টাইটানস তুলনামূলকভাবে ভাগ্যবান। দলের কেবল দুই বিদেশি, জস বাটলার ও জেরাল্ড কোয়েৎজি ভারত ছেড়েছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

বিসিসিআইয়ের লক্ষ্য, ২৫ মে’র আগেই আইপিএল শেষ করা। কারণ এরপর অনেক বিদেশি খেলোয়াড় দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও ১১ জুন লর্ডসে শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।

চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৫৭টি ম্যাচ শেষ হয়েছে। ৫৮তম ম্যাচ ছিল পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের, যা ৮ মে বাতিল হয়। ম্যাচটি পুনরায় আয়োজন করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি। টুর্নামেন্টে এখনো ১২টি লিগ ম্যাচ ও ৪টি প্লে-অফ ম্যাচ বাকি রয়েছে। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ ভারতের তিনটি শহর—চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে এসব ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এখনো সাতটি দল প্লে-অফের দৌড়ে আছে। ইতোমধ্যে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস বিদায় নিয়েছে এবারের আইপিএল থেকে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার

দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।

পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ