‘নটরাজ’ থেকে নবতর পরিবেশনায় মুগ্ধ দর্শক
Published: 17th, May 2025 GMT
অনুষ্ঠান শুরু হয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যনাট্য ‘নটরাজ’ থেকে ‘মুক্তিতত্ত্ব’-এর বৃন্দ আবৃত্তির মাধ্যমে। মোহিনী সংগীতা সিংহের গ্রন্থনা ও মাইনুল আজম চৌধুরীর নির্দেশনায় এ আবৃত্তি শুরুতেই অন্য রকম আবেশ আনে মিলনায়তনে। এরপর নটরাজ থেকে একক-দ্বৈত আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য পরিবেশন করে আমন্ত্রিত শিল্পী ও সংগঠনের সদস্যরা। বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে কবিতা ও সংগীতে স্মরণ করা হলো রবিকবিকে। সোমবার সন্ধ্যায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী-১৪৩২’ শিরোনামে আয়োজনে নানা পরিবেশনায় দর্শকদের মুগ্ধ করেন বোধনের শিল্পীরা।
শিশু বিভাগের সদস্যরা ‘অচলায়তন’ ও ‘ফাল্গুনী’ থেকে সংকলিত বৃন্দ আবৃত্তি ‘আমরা নতুন প্রাণের চর’ পরিবেশন করে দর্শকদের বিমোহিত করে। পরিবেশনাটির গ্রন্থনা করেন মোহিনী সংগীতা সিংহ এবং নির্দেশনায় ছিলেন সন্দীপন সেন একা।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের নাটক নিয়ে আলোচনা করেন একুশে পদকে ভূষিত নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার নাটক, গান, কবিতা বাঙালির মনন চিন্তার এক পরিপূরক। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্যায়ের গান কবিতা এবং নাটক রচনা বাঙালির জীবনকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।’
‘নটরাজ’ পর্বে একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী পূরবী বড়ুয়া। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্বতান। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন নরেন সাহা। নৃত্যধ্বনি পরিবেশন করে দলীয় নৃত্য, যা পরিচালনা করেন অমিত দাশ।
আবৃত্তিতে অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল নন্দী, জাভেদ হোসেন, মাইনুল আজম চৌধুরী, রীমা দাশ,
সুতপা মজুমদার, ইতু সাহা, পৃথুলা চৌধুরী, জয়শ্রী মজুমদার জয়া, হোসনে আরা নাজু, অর্চি দত্ত, ঋতুপর্ণা চৌধুরী, যশস্বী বনিক, অর্পিতা চৌধুরী, সোমা রানী বণিক, রুমকী চৌধুরী, সাবিত্রী তালুকদার, অর্ণি বণিক, মোহাম্মদ তাহসিন, ঋতু দে, সুজাতা বড়ুয়া, অপু মজুমদার, অনির্বাণ বনিক সৃজন, তন্বী ধর, উম্মে কুলসুম তারিন প্রমুখ।
আয়োজনের আবহ সংগীতে ছিলেন শিল্পী দেবলীনা চৌধুরী। কিবর্ডে সৃজন রায়, তবলায় ঝিল মজুমদার ও আরজু সেন শ্লোক। অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় মোহিনী সংগীতা সিংহ, সঞ্চালনায় প্রণব চৌধুরী।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আজ কবি ও সংগঠক বাপ্পি সাহা’র জন্মদিন
আজ কবি ও সংগঠক বাপ্পি সাহা’র জন্মদিন । শুভ জন্মদিন। কবি বাপ্পি সাহা একাধারে কবি, গল্পকার, গীতিকার, শিশুসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। সাহিত্য অঙ্গনে তার অবাধ বিচরণ। বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। বহু সংগঠন থেকে সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্ভ্রান্ত সাহা পরিবারে ১৯৮৪ সালের ৫ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার শৈশব কৈশোর কেটেছে নারায়ণগঞ্জ। আদর্শ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি, এরপর নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। তারপর সরকারি তোলারাম কলেজে লেখাপড়া করার পাশাপাশি ব্যবসায় জড়িয়ে পরেন।
তিনি নারায়ণগঞ্জ কবিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। হাই স্কুল জীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চায় জড়িত। তার কবিতার প্রেমকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কাজ রশিক বাপ্পি সাহা একজন সরল মনের মানুষ। হাস্যজ্জ্বল সংঘপ্রিয়।
কবি বাপ্পি সাহা’র প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:রাঙা প্রজাপতির ডানা (কাব্য-২০১৪), ছায়া দ্বীপ (গল্প-২০১৫), স্মৃতির ক্যানভাসে (কবিতা-২০১৬), বিষাদের খেয়া (কাব্য-২০১৭), বাপ্পি সাহা’র শত কবিতা (কাব্য-
২০১৮), সৃষ্টি তার উঞ্চ চুম্বন (উপন্যাস-২০১৯), মুখোশের অন্তরালে (উপনাস-২০২০), সকলে বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (২০২১), বাপ্পি সাহা’র একশ প্রেম (কাব্য-২০২১), কিশোর মুক্তিযুদ্ধ (২০২১), ভুতের আস্তানা (২০২২), নানান দেশের রূপকথা (২০২২), সায়েন্স ফিকশন গান শিপের যোদ্ধা (২০২৩), ভয়ংকর ভূতের তান্ডব (২০২৪), বাপ্পি সাহা’র অণু প্রেম (২০২৪),কিশোর থ্রিলার বাগান বাড়ির রহস্য (২০২৫)।
এছাড়াও তার সম্পাদিত গ্রন্থ’ ‘জনক’, স্মারক গ্রন্থ ‘এক তর্জনীর স্বাধীনতা’ (মুজিববর্ষ-২০২০)।তিনি kobial24.net এর সম্পাদকবাপ্পি সাহা সাহিত্য ভালোবাসেন বলেই নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একজন সুপরিচিত কবি।