ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অনলাইনে ওয়ালটন পণ্য কেনায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজার অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম।

ঈদ উপলক্ষে চলমান ‘ঈদের খুশি এবার বেশি বেশি’ ক্যাম্পেইনের আওতায় অনলাইন মাধ্যমে ওয়ালটনের নির্দিষ্ট মডেলের ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস, কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ কেনায় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বা ২৬ হাজার ৭১৯ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা।

ওয়ালটন প্লাজার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনে যেকোনো ব্যাংকের নেক্সাস, ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করলেই এই ছাড় পাওয়া যাবে। এ সুযোগ থাকছে সীমিত সময়ের জন্য।

ওয়ালটন প্লাজার অনলাইন ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট ও ব্র্যান্ড কো-অর্ডিনেটর নাফিস ইসতিয়াক জানান, শোরুমে গিয়ে পণ্য কেনার পাশাপাশি ঘরে বসে ওয়ালটন প্লাজার অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনা যাচ্ছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য। বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসেই ফ্রিজ, এসি, টিভি, ডেস্কটপ ও ল্যাপটসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য অনলাইনে কেনার সুযোগ রয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে ক্রেতারা দেশীয় পণ্য কিনতে অভ্যস্ত হবেন।

জানা গেছে, ওয়ালটন প্লাজা ডট.

কম.বিডি (https://waltonplaza.com.bd) ওয়েবসাইট থেকে ক্রেতারা পণ্য কেনার অর্ডার দিতে পারবেন। অনলাইন থেকে কেনা পণ্য ৭শ’র অধিক ওয়ালটন প্লাজার মাধ্যমে সারা দেশে ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশে প্রচলিত ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, নেক্সাস, ভিসা ও মাস্টার কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ, বিকাশ ও রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও অনলাইন থেকে কেনা ওয়ালটন পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে সহজেই।

অনলাইনে ওয়ালটন প্লাজা থেকে ওয়ালটনের পণ্য কেনায় ক্রেতারা পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা। আছে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ। ক্রেডিট কার্ডে ইএমআইয়ের আওতায় ১২ মাসের জিরো ইন্টারেস্ট সুবিধায় পণ্য কেনার সুযোগও দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নানা আয়োজনে বেরোবিতে রোকেয়া দিবস পালিত

রংপুরে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে রোকেয়া দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে।

‎মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী ।

এরপর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মাছুমা হাবিব।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর।  

উপাচার্য অধ্যাপক শওকাত আলীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রায় যোগ দেন। শোভাযাত্রাটি শহীদ আবু সাঈদ চত্বর মডার্ন মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে এসে শেষ হয়।

‎সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাধীনতা স্মারক মাঠে রোকেয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মাছুমা হাবিব।

তিনি বলেন, “রোকেয়ার দেখানো পথ ধরে আজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। নারী জাগরণ ও নারীশিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।”

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “লেখক হিসেবে রোকেয়া সাখাওয়াত ছিলেন বাস্তবতবাদী। এটি রোকেয়ার রচনা বা কাজের প্রধান সূত্র। রোকেয়া তুলনামূলক কম প্রবন্ধ লিখলেও বাংলা ভাষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন স্বতন্ত্র ধারার প্রাবন্ধিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।”

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বিশ শতকের প্রথম দিকে নারীসমাজে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।”

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী বলেন, “নারী জাগরণ, শিক্ষার প্রসার, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও সাম্যের চেতনায় রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যে স্বপ্ন লালন করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজ নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন।”

‎আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোকেয়া দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সচিব মো. সেলিম রেজা, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কুন্তলা চৌধুরী, বেরোবি ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ এক্সিলেন্সের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার মেহজাবীন ইলাহী, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হানি জোহরা তানিয়া।

ঢাকা/সাজ্জাদ/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ