জ্ঞান, গবেষণা, টেকসই ব্যবসা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি) ২০২৫’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ও আইন অনুষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মেলন ২৭ ও ২৮ নভেম্বর ঢাকার পূর্বাচলের আমেরিকান সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। গবেষক, শিক্ষাবিদ, শিল্প খাত ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চতুর্থবারের মতো এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্মেলনটির এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘টেকসই ব্যবসা ও আইনের অগ্রগতি: উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসনের সমন্বয়।’ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষক, গবেষক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞরা একত্র হবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের গবেষণা, ভাবনা, উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সম্ভাবনা তুলে ধরবেন।

আয়োজকেরা জানান, এবারের আইটিডি সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ১৯২টি গবেষণাপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্য থেকে ১১৩টি নির্বাচন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আজিজ, সহযোগী অধ্যাপক মো.

অলিউর রহমান এবং গ্রিন বিজনেস স্কুলের শিক্ষক, জনসংযোগ ও গণমাধ্যম কমিটির সদস্যসচিব মাশরুর মুশতাক।

উপাচার্য মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষাবিদ, শিল্প উদ্যোক্তা এবং নীতিনির্ধারকদের সম্পৃক্ত করে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক গবেষণা ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত করাতে চাই, যা তাদের জাতীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নে অর্থবহ অবদান রাখতে প্রস্তুত করবে।’

চতুর্থ আইটিডি সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আজিজ জানান, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের গবেষণা তুলে ধরার এক দারুণ সুযোগ হিসেবে কাজ করবে আয়োজনটি।

দুই দিনের সম্মেলনে গবেষকদের গবেষণাপত্রগুলো উপস্থাপন করা হবে। পাশাপাশি বাছাইকৃত গবেষণাপত্রে টেকসই অর্থায়ন, ইএসজি রিপোর্টিং, ডিজিটাল রূপান্তর, পরিবেশ আইন, এআই নৈতিকতা, মানবাধিকার, করপোরেট গভর্ন্যান্সসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়গুলোতে মূল বক্তৃতা, গবেষণা উপস্থাপনা এবং প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ গবেষণাপ্রবন্ধগুলোকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে, যা আইটিডি সম্মেলনের শ্রেষ্ঠ গবেষণায় স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহ্য অব্যাহত রাখারই অভিপ্রায়। আইটিডি ২০২৫ সম্মেলনটিতে সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ট কসই ব যবস আইট ড উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাদেশ জারি: ব্যাংক বন্ধ হলে আমানতকারীরা পাবেন ২ লাখ টাকা

দেশের কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়ণ বা বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ আমানতকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ফেরত পাবেন এমন বিধান রেখে ‘অমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। রবিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স বিভাগ থেকে জারি করা সার্কুলারের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

জনগণের আস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার লক্ষ্যে আমানতকারীর অর্থ সুরক্ষায় সরকার এই ‘অমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে। সংসদ ভেঙে যাওয়ায় জরুরি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন করেছেন। এর মাধ্যমে ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ বাতিল হয়ে নতুন আধুনিক আইন কার্যকর হলো।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসে রবিবার থেকে ৫ সেবা বন্ধ

তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিতে রাখা সাধারণ আমানত সুরক্ষিতভাবে ফেরত দেওয়াই এই আইনের মূল লক্ষ্য। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে আলাদা একটি ‘অমানত সুরক্ষা বিভাগ’ গঠিত হবে। বিভাগটি প্রিমিয়াম সংগ্রহ, তহবিল পরিচালনা, সদস্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, আমানত পরিশোধ ও সচেতনতা কার্যক্রম দেখভাল করবে।

নতুন আইনে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির জন্য দুটি পৃথক আমানত সুরক্ষা তহবিল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তহবিল গঠিত হবে প্রিমিয়াম, জরিমানা, বিনিয়োগ আয় ও অন্যান্য উৎস থেকে। তহবিলের প্রশাসন বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড করবে, যা ট্রাস্টি বোর্ড হিসেবে কাজ করবে।

নতুন লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিকে প্রারম্ভিক প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। বর্তমানে কার্যরত সব ব্যাংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সদস্য হবে, আর ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো ২০২৮ সালের ১ জুলাই থেকে সদস্যপদে যুক্ত হবে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঝুঁকি-ভিত্তিক প্রিমিয়াম আদায়ের নিয়মও থাকছে।

সরকারি, বিদেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কিছু বিশেষ আমানত সুরক্ষার বাইরে থাকবে। তবে, সাধারণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আমানত সুরক্ষা যোগ্য হিসেবে নির্ধারিত সীমার মধ্যে সুরক্ষা পাবে।

ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি অবসায়ণ বা রেজল্যুশনে গেলে আমানতকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পাবেন। প্রয়োজনে ব্রিজ ব্যাংক বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আমানত ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা, বিদেশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়ার ক্ষমতাও বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে।

নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় ব্যাংকিং খাতে সংকট মোকাবিলা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হবে, আর আমানতকারীরা আগের চেয়ে আরও বেশি সুরক্ষা পাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২৬ নভেম্বর ২০২৫)
  • বিনা মূল্যে নারীদের প্রশিক্ষণের সুযোগ, আবেদন শেষ ৩০ নভেম্বর
  • এবি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২৫ নভেম্বর ২০২৫)
  • উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়
  • বর্ষসেরা সিইও পুরস্কার পেলেন ওয়ালটন মাইক্রো-টেকের নিশাত তাসনিম শুচি
  • ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন প্রোগ্রামে ভর্তি, পরীক্ষা ৫০ নম্বরে
  • শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম
  • অধ্যাদেশ জারি: ব্যাংক বন্ধ হলে আমানতকারীরা পাবেন ২ লাখ টাকা