চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 27th, May 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে বাংলাদেশ ভূ-খণ্ড থেকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে বিএসএফ সদস্যরা ওই ১৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। তাদের মধ্যে চারজন নারী, চারজন পুরুষ এবং নয়জন শিশু।
এদিন বিকেলেই তাদেরকে গোমস্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন—কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত জেয়ার ব্যাপারীর ছেলে মফিজুল হক (২৬), তার স্ত্রী মোছা.
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিরা কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে কাজ করতেন। চলতি বছরের ১৭ মে ভারতের হারিয়ানা প্রদেশ থেকে তাদেরকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। সেখান থেকে ট্রেনযোগে তাদেরকে হাওড়া জেলায় আনা হয়। পরে ২৪ মে ভারতের ৮৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ইটাভাটা ক্যাম্পের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। ইটাভাটা ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরে ভারতের ওপারের চিলারদাড়া এলাকা হয়ে বিভিষণ সীমান্তের লালমাটিয়া এলাকা দিয়ে ওই ১৭ জনকে ঠেলে পাঠায়। পরে তাদেরকে আটক করে বিজিবি।
নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুর ইসলাম মাসুম জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার সুবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তারা সবাই বাংলাদেশি। দীর্ঘদিন আগে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে গিয়ে ইটের ভাটায় কাজ করতেন তারা। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু আছে।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন জানিয়েছেন, বিএসএফ সদস্যরা ১৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/শিয়াম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ১৭ জনক ত দ রক ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।