সুনামগঞ্জ সীমান্তে ১৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
Published: 28th, May 2025 GMT
সুনামগঞ্জে ছাতক সীমান্তে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় ১৬ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী ছনবাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
ছাতক উপজেলার ওই সীমান্ত বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধীন। সিলেট বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল নাজমুল হক ভারত থেকে ১৬ জনকে ঠেলে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়টি শিশু, পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। তাঁরা পাঁচটি পরিবারের সদস্য। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্তে একত্র করে তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে।
ছাতক সীমান্তের নোয়াকোট বিওপির হাবিলদার আবদুল আজিজ জানান, ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপির ছনবাড়ি এলাকায় বিজিবির একটি টহল দল গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ১৬ জনকে আটক করে। পরে তাঁদের বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করছিলেন। কাজের সন্ধানে তাঁরা ভারতে গিয়েছিলেন। এখন তাঁরা বিজিবি হেফাজতে আছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের ছাতক থানায় হস্তান্তর করা হবে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ আজ দুপুরে বলেন, তিনি বিষয়টি জানার পরই বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিছু প্রক্রিয়া শেষে বিজিবি আটক ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৬ জনক
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।