সুনামগঞ্জে ছাতক সীমান্তে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় ১৬ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী ছনবাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

ছাতক উপজেলার ওই সীমান্ত বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধীন। সিলেট বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল নাজমুল হক ভারত থেকে ১৬ জনকে ঠেলে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়টি শিশু, পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। তাঁরা পাঁচটি পরিবারের সদস্য। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্তে একত্র করে তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে।

ছাতক সীমান্তের নোয়াকোট বিওপির হাবিলদার আবদুল আজিজ জানান, ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপির ছনবাড়ি এলাকায় বিজিবির একটি টহল দল গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ১৬ জনকে আটক করে। পরে তাঁদের বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করছিলেন। কাজের সন্ধানে তাঁরা ভারতে গিয়েছিলেন। এখন তাঁরা বিজিবি হেফাজতে আছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের ছাতক থানায় হস্তান্তর করা হবে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ আজ দুপুরে বলেন, তিনি বিষয়টি জানার পরই বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিছু প্রক্রিয়া শেষে বিজিবি আটক ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১৬ জনক

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক