সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগ নেতার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 3rd, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত যুবকের নাম মো. শিপন (৪৫)। তিনি মগধরা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আনসারুল হকের ছেলে। তাঁর বড় ভাই মো. সাখাওয়াত হোসেন ওরফে বকুল সন্দ্বীপের একটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ আইন্না গোপাট নামের এলাকার একটি রাস্তার ওপর তাঁর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। এরপর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহত তরুণের একটি মুরগির খামার রয়েছে।
কারা, কী কারণে শিপনকে হত্যা করেছে, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তবে ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বড় ভাই আওয়ামী লীগের নেতা। রাজনৈতিক কারণে তিনি হত্যার শিকার হতে পারেন। তবে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি শিপনের বড় ভাই সাখাওয়াত।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে কাজ করছে।
পাঁচ আইন্না গোপাটের এক বাসিন্দা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি শুনতে পান রাস্তার ওপর এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে দেখেন, অনেক লোক জড়ো হয়েছেন। পাশে পড়ে আছে একটি মোটরসাইকেল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে কেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে জখম করে ফেলে যায়।
সন্দ্বীপ থানার ওসি এ কে এম সফিকুল ইসলাম আরও বলেন, শিপনকে সম্ভবত মোটরবাইক থামিয়ে চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এতে শিপনের দেহ থেকে হাত দুটি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাঁর মুখের বাঁ পাশে এবং মাথায় কোপের আঘাত ছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিএল সেরা দলে জায়গা পেলেন যারা
প্রথমবার আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অন্য মৌসুমের মতো এবারো দারুণ খেলেছেন বিরাট কোহলি। আইপিএলের বড় তারকা হয়ে উঠেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। গত বছর কেকেআরকে শিরোপা জিতিয়েছেন। এবার ১১ বছর পর পাঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে তুলেছেন নেতৃত্বে ও ব্যাটে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে।
গুজরাটের জার্সিতে জস বাটলার ভালো মৌসুম পার করেছে। গত মৌসুমে দারুণ খেলার পরও রাজস্থান রয়েল তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। প্রিয়ংশি আরিয়া আলো কাড়লেও সাই সুদর্শন ছিলেন বেশি নির্ভার। বাজে শুরু করা দলকে প্লে অফে তুলতে ভালো ভূমিকা রেখেছেন মুম্বাইয়ের সূর্যকুমার যাদব।
দলকে ফাইনালে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার দায় মাথা পেতে নিয়ে মুম্বাইয়ের নেতৃত্বভার ছেড়ে দিলেও হার্ডিক পান্ডিয়া ব্যাটে-বলে দারুণ এক অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেছেন। বেঙ্গালুরুকে শিরোপা জেতাতে বড় অবদান রেখেছেন তারই ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া। তরুণ উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মা এবারের আইপিএলের এক ব্রেক থ্রু।
বোলিংয়ে জাসপ্রিত বুমরাহকে সেরার তালিকায় রাখতেই হবে। রশিদ খানের পড়তি মৌসুমে আলো কেড়েছেন তরুণ আফগান লেগ স্পিনার নুর আহমেদ। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা তিন বছর পর আইপিএলে ফিরে সর্বাধিক উইকেট দখল করে পার্পল ক্যাপ পেয়েছেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জস হ্যাজলউডও জায়গা পেয়েছেন ক্রিকইনফোর সেরা আইপিএলে দলে।
ক্রিকইনফোর সেরা আইপিএল দল: সাই সুদর্শন (গুজরাট), বিরাট কোহলি (বেঙ্গালুরু), জস বাটলার (গুজরাট), সূর্যকুমার যাদব (মুম্বাই), শ্রেয়াস আইয়ার (পাঞ্জাব), হার্ডিক পান্ডিয়া (মুম্বাই), জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক, বেঙ্গালুরু), ক্রুনাল পান্ডিয়া (বেঙ্গালুরু), নুর আহমেদ (চেন্নাই), জাসপ্রিত বুমরাহ (মুম্বাই), প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা (গুজরাট), জস হ্যালজউড (বেঙ্গালুরু)।